পাকিস্তানি হিন্দু উদ্বাস্তুদের জন্য বড়সড় পদক্ষেপ শিখর ধাওয়ানের
শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় গরীব মানুষদের দুরাবস্থা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ নয়, তিনি তাদের সাহায্য করলেন মাঠে নেমে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- লকডাউনে বহু মানুষ আধপেটা খেয়ে রয়েছেন। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন অনেক হতদরিদ্র মানুষ। প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি দেখেছে গোটা দেশ। তবে যন্ত্রণা শুধু তাদের নয়। গোটা দেশে ছড়িয়ে থাকা বহু মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে এই লকডাউন। দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ব্যাপক হারে। বহু জায়গায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। লকডাউন এখন অনেকটাই শিথিল হয়েছে। তবে এখনও বহু মানুষ সমস্যায় রয়েছেন। এবার নিজের সামর্থ অনুযায়ী পাকিস্তানি উদ্বাস্তুদের পাশে থাকার চেষ্টা করলেন শিখর ধাওয়ান। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় গরীব মানুষদের দুরাবস্থা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ নয়, তিনি তাদের সাহায্য করলেন মাঠে নেমে।
দিল্লির মজলিস মেট্রো স্টেশনের কাছে পাকিস্তানি হিন্দু রিফিউজি-দের বস্তিতে গিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করলেন গব্বর। হঠাত্ করেই উদ্বাস্তুদের কলোনিতে হাজির হন ধাওয়ান। তার পর তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেন নিজে হাতে। এমনকী তাদের শৌচাগারের ব্যবস্থাও করে দিলেন তিনি। ওই এলাকায় পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুরা বসবাস করছে অনেকদিন ধরে। লকডাউনে তাদের অনাহারে দিন কাটাতে হয়েছে। সরকারি অনুদান পৌঁছলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ধাওয়ান এক বন্ধুর কাছে তাঁদের দুর্দশার কথা শুনে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান। শিখর ধাওয়ান ভবিষ্যতেও তাঁদের আবার সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ''পাকিস্তানের কাছে মাফ্ চাইত ভারত'', সুস্থ হয়েই বেয়াদপি শুরু করে দিলেন আফ্রিদি
Enjoyed my morning with the refugees staying near Majlis Metro Station. Grateful for the kind reception they gave me @PMOIndia @narendramodi @HMOIndia @AmitShah @sanjaysherpuria pic.twitter.com/YdwPmFXSrk
— Shikhar Dhawan (@SDhawan25) July 4, 2020
ওই এলাকার ছোট ছেলেমেয়েদের হাতে ক্রিকেট খেলার সরঞ্জামও তুলে দিয়েছেন শিখর। শিখর বলেছেন, "এখানে এসে ওদের থেকে যে ভালবাসা, আপ্যায়ন পেলাম তাতে আমি মুগ্ধ। আমার এক বন্ধু এই উদ্বাস্তু শিবিরে থাকা মানুষগুলোর ভাল-মন্দ দেখাশোনা করে। ওকে দেখেই আমি এগিয় এসেছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমি আমার স্পনসর সংস্থাকে বলেছি, এখানকার বাচ্চাদের যেন ভবিষ্যতেও ক্রিকেট কিট পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।"