জয় ভারতীয় ক্রিকেট হয়ত পাবে, কিন্তু বীরু আর পাবে না, শোলেটাই শেষ
বীরুর শোলে অনেক দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া। মাউথ অর্গানে ওই বিষাদের সুরটাও বাজারই ছিল। কিন্তু সেটা হঠাত্ এভাবে বেজে উঠলে ক্রিকেটপ্রমীদের বুকটায় এতটা মোচড় দিয়ে উঠবে জানা ছিল না।
ওয়েব ডেস্ক: বীরুর শোলে অনেক দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া। মাউথ অর্গানে ওই বিষাদের সুরটাও বাজারই ছিল। কিন্তু সেটা হঠাত্ এভাবে বেজে উঠলে ক্রিকেটপ্রমীদের বুকটায় এতটা মোচড় দিয়ে উঠবে জানা ছিল না।
বীরু বিদায় নিলেন ক্রিকেট থেকে। প্রায় আড়াই বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছিলেন না। তবু ছিলেন ক্রিকেটেই। কিন্তু মহাষষ্ঠীর দিনই জানিয়ে দিলেন। অনকে হয়েছে। এবার অবসর। সতীর্থ জাহির খান মাত্র দু-চারদিন আগে অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। এবার সেই পথে বীরুও!
এ দেশের টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে একটা ট্রিপল সেঞ্চুরি ছিল না কারও। নজফগড়ের নবাব একটা নয়, দু-দুটো ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। বছর কয়েক আগের এক দুর্গা পুজোর অষ্টমীতে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন যেন সেই স্মৃতিই ফিরিয়ে আনলেন সেহবাগ।
দেশের হয়ে ১০৪ টেস্ট খেলে ৮৫৮৬ রান করেছেন। আর ২৫১ একদিনের ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহ ৮২৭৩ রান। ২০ অক্টোবর জন্মদিন বীরেন্দ্র সেহবাগের। ঠিক আগের রাতেই জানিয়ে দিলেন বিদায় ক্রিকেট! বুকের পাটা বরাবরই বেশি চওড়া তাঁর। তাই এমন আবেগঘন সিদ্ধান্তও নিতে পারেন এমন দিনে।
কিন্তু বিসিসিআইয়ের মুখে কি একটা কষিয়ে থাপ্পড় দিয়ে গেলেন না? নিশ্চয়ই গেলেন। আইসিসি, উইজডেন, সবাই যাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে, গোটা ক্রিকেটবিশ্ব তাঁর ব্যাটিং দেখতে রিমোট কাছ ছাড়া করেনি কখনও। সেই মানুষটার ক্রিকেট থেকে বিদায় কি বিসিসিআই আর একটু সম্মানের করতে পারত না?
২০১৩-র মার্চে আস্ট্রলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন শেষ টেস্ট। শেষ একদিনের ম্যাচ তারও আগে ২০১৩-র জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কি জানি ভারতীয় ক্রিকেট দলে হরভজন সিংও সুযোগ পেলেন। এখনও খেলছেন। আর বীরুকে জন্মদিনের আগের রাতে বলতে হল, বিদায় ক্রিকেট! নবাব ছাড়া ক্রিকেট যে বড় দরিদ্র হয়ে গেল।তাঁর সিংহাসনটা ফাঁকাই থেকে যাবে। জয় ভারতীয় ক্রিকেট আরও অনেক পাবে হয়ত। কিন্তু বীরু যে আর পাবে না।