Santosh Trophy 2023: হরিয়ানাকে ৩-০ ব্যবধানে হারালেও, দলের খেলায় খুশি নন কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য
Santosh Trophy 2023: শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলা ম্যাচের আধিপত্য নিয়েই খেলা শুরু করে। ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় তোতন দাস গোল করে বাংলাকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। প্রথম গোল হওয়ার ২১ মিনিটে বাংলার হয়ে গোল করেন সুরজিৎ হাঁসদা (২-০)।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে নতুন বছরের ৭ জানুয়ারি। প্রায় আড়াই মাস পরে মাঠে নেমেছিল জাতীয় গেমসে (National Games 2022) সোনাজয়ী বাংলা দল (Bengal)। তবে এতে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েনি। বরং যেখানে শেষ করেছিল, ঠিক সেখান থেকেই সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy 2023) অভিযান শুরু করল বঙ্গব্রিগেড। প্রথম ম্যাচেই হরিয়ানাকে (Haryana) ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল গতবারের সন্তোষ ট্রফির রানার্স দল। বাংলার তিন গোলদাতা তোতন দাস (Toton Das), সুরজিৎ হাঁসদা (Surojit Hansda), রবি হাঁসদা (Rabi Hansda)। তাও আবার কোলহাপুরের ছত্রপতি শাহু স্টেডিয়ামের (Kolhapur Chatrapati Shahu Stadium) জঘন্য মাঠে। তবে এমন জয়ের পরেও অবশ্য দলের পারফরম্যান্সে খুশি নন তিন প্রধানে কোচিং করানো বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য (Biswajit Bhattachrya)।
জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রাক্তন স্ট্রাইকার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, 'স্টেডিয়ামের অবস্থা খুবই খারাপ। এই শক্ত মাঠে সবকটা দল অনুশীলন করছে। সেখানেই আবার দিনে তিনটি করে ম্যাচ! ভাবলেই অবাক লাগে। শনিবার এই মাঠেই তিনটি ম্যাচ খেলা হল। তাহলে বুঝুন ফুটবলারদের কেমন অবস্থার মধ্যে খেলতে হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: Pele: 'ফুটবল সম্রাট'-কে শ্রদ্ধা জানিয়ে এবার কেপ ভার্দে ও গিনি বিসাউয়ে পেলের নামে স্টেডিয়াম
খারাপ মাঠে খেলার জন্য কীভাবে ফুটবলারদের তিনি উদ্বুদ্ধ করলেন? বিশ্বজিৎ যোগ করেন, 'আমাদের কিছুই করার নেই। ম্যাচের সঙ্গে অনুশীলন করার জন্যও এই মাঠই বরাদ্দ। সংগঠকরা বাইরে একটা মাঠে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিল। সেটার অবস্থাও খুবই খারাপ। শক্ত মাটি। চোট পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। এরসঙ্গে একদিন অন্তর একদিন ম্যাচ খেলতে হবে। ফুটবলাররা বিশ্রামও পাবে না। আমার ফুটবলাররা চোট এড়িয়ে খেলার চেষ্টা করল। তাই হয়তো প্রত্যশা অনুসারে পারফর্ম করতে পারল না। ফলে ৩-০ গোলে জিতলেও আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ আমি ওদের আরও ভালো খেলতে দেখেছি।'
শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলা ম্যাচের আধিপত্য নিয়েই খেলা শুরু করে। ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় তোতন দাস গোল করে বাংলাকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। প্রথম গোল হওয়ার ২১ মিনিটে বাংলার হয়ে গোল করেন সুরজিৎ হাঁসদা (২-০)। গোটা ম্যাচেই বাংলা দাপটের সঙ্গে খেলে। ৯০ মিনিট বল পজিশন বাংলার বেশিই ছিল। তবুও হরিয়ানা কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে গোলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হরিয়ানার এক ফুটবলারের একটি চমৎকার শট সেভ করেন গোলকিপার আকাশ মুখার্জি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে, ৫৮ মিনিটের মাথায় ম্যাচের শেষ গোলটি (৩-০) করেন রবি হাঁসদা। সোমবার সকাল ৮-টার সময় প্রতিপক্ষ দমন ও দাদরার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলা।