পাকিস্তানি বউমা, জাতীয় পতাকার অপমানের অভিযোগ, বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না সানিয়ার
একদিকে ভারতের স্পোর্টস স্টার অন্যদিকে পাকিস্তানের বউমা তিনি। বুঝতে পারছেন কার কথা বলা হচ্ছে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তিনি টেনিস স্টার সানিয়া মির্জা। বুধবার তাঁর জন্মদিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে ভারতের স্পোর্টস স্টার অন্যদিকে পাকিস্তানের বউমা তিনি। বুঝতে পারছেন কার কথা বলা হচ্ছে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তিনি টেনিস স্টার সানিয়া মির্জা। বুধবার তাঁর জন্মদিন।
কথায় বলে, মেয়েদের নাকি বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই। কিন্তু, তিনি যদি সানিয়া মির্জা, বয়স নিয়ে কোনও রাখঢাক নেই। কিন্তু, জানেন কি সানিয়া মির্জাকে দেখলে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ যতই ঝলসে উঠুক না কেন, তাঁকে নিয়ে বিতর্কও কম নয়।
আরও পড়ুন : জন্মদিনে সানিয়া, অন্যরকম লুকে ভারতের স্পোর্টস স্টার
কেরিয়ারের শুরুতে সানিয়া মির্জার পোশাক নিয়ে বেশ বিতর্ক শুরু হয়। টেনিসের পোশাক ধর্মের সঙ্গে মানানসই নয় বলে জানিয়েছিলেন এক মুসলিম ধর্মগুরু। যদিও পরে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তাঁরা।
জাতীয় পতাকা অবমাননারও অভিযোগ উঠেছে সানিয়ার বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় পতাকার দিকে পা দিয়ে বসে তেরঙাকে অপমান করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয় একদল। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
আরও পড়ুন : নয়া ফটোশুটে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দিশা
সানিয়া মির্জার পরিবার নাকি বিপিএল তালিকাভুক্ত। এমন বিতর্কও শুরু হয় হায়দরাবাদি কন্যাকে নিয়ে।
২০০৮ সালে সোহরাব মির্জার সঙ্গে বাগদান হয় সানিয়ার। ওই সময় মহম্মদ আশরফ নামে এক যুবক দাবি করেন, সোহরাবের সঙ্গে বাগদান বাতিল করতে হবে সানিয়াকে। না হলে তাঁর বাড়িতে গিয়ে গন্ডগোল বাঁধানোরও হুমকি দেন ওই যুবক। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন, সোহরাবকে বিয়ে করতে পারবেন না সানিয়া, কারণ তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। যদিও ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় অভিযোগ।
ছোটবেলার বন্ধু সোহরাব মির্জার সঙ্গে বাগদান হলেও, শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যায়। কেন সোহরাবের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিলেন, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা ওই সময় দেননি সানিয়া। শুধু জানান, তিনি এবং সোহরাব ছোট থেকেই ভাল বন্ধু। কিন্তু, বাগদানের পর তাঁদের মধ্যে মনের মিল হচ্ছে না বলেই সম্পর্ক আর এগোবেন না তাঁরা।
সানিয়া মির্জা পাকিস্তানের বউমা। তাই তাঁকে তেলাঙ্গানার ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডার’ করা যায় না বলে সওয়াল করেন বিজেপি নেতা কে লক্ষ্মণ। ২০১৩ সালে বিজেপি নিয়াত্র ওই মন্তব্য নিয়ে কম জল্পনা হয়নি।