বৃষ্টিও বাঁচাতে পারল না বাংলাদেশকে! ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে হারল সাকিবরা
ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটে দুধের শিশুদের কাছে হার মানল সাকিব-সৌম্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সকাল থেকেই চট্টগ্রামে মেঘে ঢাকা আকাশ, বৃষ্টির ভ্রুকুটি ছিল। নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্টের শেষ দিনের খেলাও শুরু করা সম্ভব হয়নি। শেষ দিনে জয়ের জন্য আফগানদের দরকার ছিল ৪টি উইকেট। আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬২ রান। বৃষ্টিও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারল না টাইগারদের। ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটে দুধের শিশুদের কাছে হার মানল সাকিব-সৌম্যরা। ইতিহাস গড়ল আফগানিস্তান। ২০১৮ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম অ্যাওয়ে টেস্টেই জয় ছিনিয়ে নিল আফগানরা। ২২৪ রানে বাংলাদেশকে হারাল আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের রেকর্ড ছুঁল আফগানিস্তান।
Afghanistan have registered their second Test win in just their third Test match.
They are the joint quickest team to the landmark, equalling Australia who picked up their second Test victory all the way back in 1879.#BANvAFG pic.twitter.com/ko3BoULhbj
— ICC (@ICC) September 9, 2019
চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান। শেষ দিনে বাংলাদেশের ভরসা ছিল সাকিব আর বৃষ্টি। দ্বিতীয় ভরসা অবশ্য সকাল থেকেই সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের। দুপুরে খেলা শুরু হলেও মাত্র ২ ওভার খেলার পরেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আশা করা হয়েছিল ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের ভেলকিতে সব জল্পনার অবসান। কিন্তু শেষ সেশনের প্রথম বলেই আউট বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। দিনের শেষ বেলায় শেষ সেশনে বাজিমাত করল আফগান স্পিনাররা। বাকি চার উইকেটের ৩টি নিলেন রশিদ খান। ১৭৩ রানেই শেষ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
WHAT. A. FINISH.
Afghanistan will enjoy that for a long time! pic.twitter.com/fO98U8SWEX
— ICC (@ICC) September 9, 2019
টেস্টের প্রথম দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হওয়া রশিদ খান। প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রান তোলে আফগানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রশিদের ঘূর্ণিতে মাত্র ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রান করে আফগানিস্তান। এরপর বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য ৩৯৮ রানের টার্গেট দাঁড়ায়। এরপর মাত্র ১৭৩ রানে শেষ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ২২৪ রানে টেস্ট জিতে নেয় আফগানরা। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই জয় রশিদ খানের। একই সঙ্গে হাফ-সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১১টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা তিনিই।