Rabindranath Tagore | East Bengal: 'তুমি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলবে', কিংবদন্তিকে প্রস্তাব রবি ঠাকুরের! জানেন কি এই গল্প?
Rabindranath Tagore Convinced Legendary Footballer To Play For East Bengal: স্বয়ং বিশ্বকবি চেয়েছিলেন এই ফুটবলার খেলুক গর্বের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে! চমকে দেওয়া গল্পটা রইল আজকের এই বিশেষ দিনে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্ম যার যার, তবে ঠাকুর সবার! তিনি একমেবাদ্বিতীয়ম- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। আজ অর্থাৎ বুধবার কবিগুরুর ১৮৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন হচ্ছে পুরো দেশ জুড়ে। আর ঠিক এমন দিনেই বারবার ফিরে আসছে রবীন্দ্রনাথের জীবনের নানা জানা, অজানা গল্প। এমন এক গল্প থাকছে, এই প্রতিবেদনে যা, ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফ্য়ানদের মন ভালো করে দেবে। এই প্রজন্মের অনেক লাল-হলুদ ভক্তেরই হয়তো ধারণারও বাইরে যে, স্বয়ং রবি ঠাকুর জুড়ে ছিলেন লেসলি ক্লডিয়াস সরণির শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের সঙ্গে! ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য় সম্পর্ক জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির উজ্জ্বলতম বাসিন্দার।
আরও পড়ুন: Neeraj Chopra: তিন বছর পর ঘটবে আবার! বুধে বার্তা ফেডারেশের, শুরু বর্শামঙ্গলের অপেক্ষা...
ইস্টবেঙ্গলের কিংবদন্তি ফুটবলার ছিলেন সূর্য চক্রবর্তী। ১৯২৭ সালে তিনি লাল-হলুদের অধিনায়ক হয়েছিলেন। এরকম অসামান্য় রাইট-ইন ফুটবলার খুব কমই দেখেছে বাঙালি। ভারতেও আর দ্বিতীয় সূর্য ছিলেন না। ১০ বছর দাপটের সঙ্গে খেলেছেন ক্লাবে। ঢাকার বিক্রমপুরের কাইচল গ্রামের ফুটবলারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ভীষণ ভাবে মিশে রয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এদিন ফেসবুকে একটি রবীন্দ্রনাথ ও সূর্যের ছবি পোস্ট করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে সূর্যকে ঠাকুরবাড়িতে থেকে শুধু পড়াশোনা করার আমন্ত্রণই জানাননি রবীন্দ্রনাথ, তিনি দুখিরাম মজুমদারের ফুটবল ক্লাসেও যোগ দেওয়ার জন্য় অনুপ্রেরণা জুগিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেই খেলার কথা। ১৯২৫ সালে রবীন্দ্রনাথের নির্দেশেই সূর্য লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপান।১৯৪৫ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন পরিতোষ চক্রবর্তী। এই ডিফেন্ডারেরও লাল-হলুদে খেলার নেপথ্য়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এমনটাই জানা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফুটবলের প্রতি ছিল অগাধ জ্ঞান। নিয়মিত ফুটবল খেলা দেখতেন মাঠে। এমনকী রবি ঠাকুরের নিজের ফুটবল টিমও ছিল। যার নাম ছিল বিশ্বভারতী একাদশ। বিশ্বকবি কলকাতার নামি ফুটবল ক্লাব ও কলেজ টিমগুলিকে আমন্ত্রণ জানাতেন তাঁর শান্তিনিকেতনে গিয়ে, বিশ্বভারতী একাদশের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্য়াচ খেলার জন্য়। রবীন্দ্রনাথ যদি ফুটবল স্কাউটিংয়ের কাজ করতেন, তাহলেও আগুন জ্বালতেন। কারণ তাঁর ছিল জহুরীর চোখ। একবার খেলা দেখেই বুঝে যেতেন যে, কোন ফুটবলারের মধ্য়ে রয়েছে বিরাট সম্ভাবনা।