Anil Kumble, IND vs PAK: জিম লেকারের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে অনিল কুম্বলের ইতিহাস সৃষ্টি করার দিন
Anil Kumble: টসে জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৫২ রান তোলে ভারত। আজহার সর্বাধিক ৬৭ ও সদগোপান রমেশ ৬০ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঠিক ২৪ বছর আগের কথা। ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির (Delhi) হাড় কাঁপিয়ে দেওয়া শীতের সকাল। ফিরোজ শাহ কোটলার (Feroz Shah Kotla) বাইশগজে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন অনিল কুম্বলে (Anil Kumble)। লেগ স্পিন, গুগলি, ফ্লিপারকে হাতিয়ার করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে (Pakistan) একাই শেষ করে দিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) সর্বকালের সেরা অন্যতম ম্যাচ উইনার। ইংল্যান্ডের (England) প্রাক্তন অফ স্পিনার জিম লেকারের (Jim Laker) পর কুম্বলে হলেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্বিতীয় বোলার যিনি এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছিলেন। কুম্বলের বোলিং ফিগার ছিল ২৬.৩-৯-৭৪-১০। তাঁর সেই কীর্তির সুবাদে ওয়াসিম আক্রমের (Wasim Akram) দলের বিরুদ্ধে ২১২ রানে জিতেছিল ভারত। তাই এমন বিশেষ দিনে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ও প্রাক্তন কোচকে ধন্যবাদ জানাল বিসিসিআই (BCCI)।
শুধু জয় নয়। দিল্লি টেস্ট জিতে চেন্নাইতে আয়োজিত প্রথম টেস্ট হারের বদলাও নিয়েছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনের (Mohammad Azharuddin) ভারতীয় দল। চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রান চেজ করতে নেমেছিল ভারত। তবে সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) পিঠের ব্যথা নিয়ে ১৩৬ রান করলেও, ভারত সেই টেস্ট ১২ রানে হেরে যায়। দিল্লি টেস্ট জয়ের পর ১-১ ফলাফলে শেষ হয়েছিল সেই হাইভোল্টেজ সিরিজ। তাই ২৪ বছর আগে দিল্লিতে সেই ঐতিহাসিক টেস্ট জয় দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ।
— BCCI (@BCCI) February 7, 2023
টসে জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৫২ রান তোলে ভারত। আজহার সর্বাধিক ৬৭ ও সদগোপান রমেশ ৬০ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসেও কুম্বলে ৭৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। হরভজন সিং নিয়েছিলেন ৩০ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৯৬ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার রমেশ। ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ফলে সেই টেস্ট জেতার জন্য পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২০ রান।
আরও পড়ুন: Border Gavaskar Trophy 2023:'36 all out'-এর ভিডিয়ো পোস্ট করে অজিদের মাইন্ড গেম শুরু
দুই পাক ওপেনার সইদ আনোয়ার ও শাহিদ আফ্রিদি প্রথম উইকেটে ১০১ রান যোগ করলেও শেষরক্ষা হয়নি। অনিল কুম্বলে হাতে বল নেওয়ার পরেই পাকিস্তানের ব্যাটিং তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছিল। ৬০.৩ ওভারে মাত্র ২০৭ রানে শেষ হয়ে যায় আক্রমের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান দিয়ে ১০ উইকেট নেন এই প্রবাদপ্রতিম লেগ স্পিনার।
১৩২ টেস্টে ৬১৯ উইকেট নিয়ে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চির বিদায় জানান কুম্বলে। মুথাইয়া মুরলিথরন ১৩৩ টেস্টে ৮০০ উইকেট, প্রয়াত শেন ওয়ার্নের ১৪৫টি টেস্টে ৭০৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তিন নম্বরে উঠে এসেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। তিনি এখনও পর্যন্ত ১৭৭টি টেস্টে ৬৭৫টি উইকেট নিয়েছেন। চার নম্বরে নেমে এসেছেন কুম্বলে। ১৩২টি টেস্টে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৬১৯ উইকেট।