NZ vs ENG: ফিরে এল টেস্ট ক্রিকেটের রোমান্স, ইংল্যান্ডকে ১ রানে হারিয়ে সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড
NZ Beat ENG by 1 run in 2nd test: ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় টেস্টও রক্তের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল। লর্ডসের ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু এবার নিউজিল্যান্ড ১ রানে টেস্ট ম্যাচ জিতে নিল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যতই একদিনের ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি দাপাদাপি করুক, টেস্ট ক্রিকেটই যে আসল সেটা ফের বোঝা গেল। ফলো অন হজম করেও টেস্ট জেতা যায়। সেটা ইংল্যান্ডের চোখে চোখ রেখে প্রমাণ করে দিল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। টিম সাউদি (Tim Southee) ও নীল ওয়েগনারের (Neil Wagner) আগুনে বোলিংয়ে উড়ে গেল বেন স্টোকস (Ben Stokes)-জো রুটের (Joe Root) দল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ মাত্র ১ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল কিউইরা। ফলে ৩০ বছর পর ১ রানের টেস্ট জয় দেখল ক্রিকেট দুনিয়া।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কিউইরা। জো রুটের (Joe Root) অপরাজিত ১৫৩ ও হ্যারি ব্রুকের (Harry Brook) ১৮৬ রানের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৪৩৫ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় স্টোকসের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০৯ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। স্টুয়ার্ট ব্রড (Stuart Broad), জেমস অ্যান্ডারসন (James Anderson) ও জ্যাক লিচের (Jack Leach) দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কিউইদের ইনিংস। ২২৬ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে নিউজিল্যান্ডকে ফলো অন করায় স্টোকসের দল।
আর সেখান থেকেই ঘুরে যায় ম্যাচ। প্রাক্তন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (Kane Williamson) ১৩২, টম ল্যাথাম (Tom Latham) ৮৩, টম ব্লান্ডেল (Tom Blundell) ৯০ ও ড্যারিল মিচেল (Daryl Mitchell) ৫৪ রান করেন। সেই সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৪৮৩ রান করে।
আরও পড়ুন- Lionel Messi: জল্পনা সত্যি, মেসিই হলেন ফিফার ‘বর্ষসেরা ফুটবলার’
জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ২৫৮ রান। ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ড। সেই ফাইনাল মহাকাব্যের পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় টেস্টও রক্তের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল। লর্ডসের ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু এবার নিউজিল্যান্ড ১ রানে টেস্ট ম্যাচ জিতে নিল। এর আগে ১৯৯৩ সালে মাত্র ১ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল এক উইকেটে ৪৮ রান। পঞ্চম দিনে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২১০ রান। ইংল্যান্ডের হাতে তখনও ৯ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ইংল্যান্ড বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই রান অনেক দলই তুলতে পারে। কিন্তু শেষ দিনে ২১০ রান তাড়া করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। স্কোর বোর্ডে ৮০ রান উঠতেই ইংল্যান্ড হারায় পাঁচটি উইকেট। ধাক্কা সামলান রুট ও স্টোকস। ষষ্ঠ উইকেটে দুই তারকা ১২১ রান যোগ করেন। ২০১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেই সময় স্টোকস ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হন।
যদিও তখনও ইংল্যান্ডের হাতেই ম্যাচ ছিল। কিন্তু আর এক রান যোগ হতেই ব্যক্তিগত ৯৫ রানে আউট হন (৯৫)। দলের রান যখন ২১৫, তখন আউট হন স্টুয়ার্ট ব্রডও। যদিও বেন ফোকসের লড়াইয়ের জন্য ইংল্যান্ড ২৫১ রানে পৌঁছে যায়। ঠিক তখন ৩৫ রানে ফিরে যাব ফোকস। জেতার জন্য আর দরকার ৭ রান, এই রানই মনে হচ্ছিল অনেক। ২৫৬ রানে ফিরে যান অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ম্যাচ জেতা আর সম্ভব হয়নি। সিরিজের ফলাফল ১-১।