নির্বাসিত মোহনবাগান
নয়ই ডিসেম্বরের ডার্বি কাণ্ডের জেরে দোষী সাব্যস্ত হল মোহনবাগান। আই লিগ থেকে দুবছরের জন্য নির্বাসিত হল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। একই সঙ্গে ধার্য করা হচ্ছে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা। শাস্তি হতে চলেছে ওডাফারও। আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি আই লিগ কোর কমিটির আরও একটি বৈঠক হবে। তাতে সবুজ মেরুনের আর্থিক জরিমানার পরিমাণ ঠিক করা হবে। সেদিনই ঠিক করা হবে ওডাফাকে ঠিক কী শাস্তি দেওয়া হবে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ব্যক্তিগত ভাবে এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন
নয়ই ডিসেম্বরের ডার্বি কাণ্ডের জেরে দোষী সাব্যস্ত হল মোহনবাগান। আই লিগ থেকে দুবছরের জন্য নির্বাসিত হল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। একই সঙ্গে ধার্য করা হচ্ছে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা। শাস্তি হতে চলেছে ওডাফারও। আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি আই লিগ কোর কমিটির আরও একটি বৈঠক হবে। তাতে সবুজ মেরুনের আর্থিক জরিমানার পরিমাণ ঠিক করা হবে। সেদিনই ঠিক করা হবে ওডাফাকে ঠিক কী শাস্তি দেওয়া হবে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ব্যক্তিগত ভাবে এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন।
কলকাতার ডার্বি বিতর্ক নিয়ে বৃহস্পতিবার রায় দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি। রায়ের কপি হাতে পেয়ে ফেডারেশন সচিব এবং সভাপতি আলোচনা করেন। আজকে ফেডারেশনের তরফ থেকে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৯ তারিখ কলকাতার যুবভারতীতে ডার্বি চলাকালীন ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দর্শকদের ছোঁড়া ঢিলে আহত হন ফুটবলার রহিম নবি। এরপর নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ ম্যাচ থেকে দল প্রত্যাহার করে নেয়। যদিও আই লিগ কমিটি এবং ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ উভয়ই দাবি করেন সেই দিন মাঠে খেলার পরিবেশ ছিল। অভাব ছিল না নিরাপত্তা ব্যবস্থারও। এরপরেই আই লিগ কমিটির পক্ষ থেকে ফেডারেশনের কাছে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
গত সোমবার নয়া দিল্লিতে ডার্বি কাণ্ডের শুনানি হয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা এই শুনানির প্রথম দিকে মূলত ম্যাচের গন্ডগোলের ভিডিও দেখেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি। তারপর মোহনবাগান এবং ফেডারেশন, দুই পক্ষেরই বক্তব্য শোনেন তিনি। মোহনবাগানের বক্তব্য ছিল ডার্বি ম্যাচের দিন মাঠে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। গ্যালারি থেকে ছোঁড়া ঢিলে তাঁদের এক ফুটবলার আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। এই অবস্থায় দল তুলে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না তাঁদের কাছে। এ ব্যাপারে ফিফার সংবিধানও উদ্ধৃত করেন তাঁরা।
মোহনবাগানের আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল, আয়োজক দল হিসাবে সেদিন মাঠে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব ছিল ইস্টবেঙ্গলের। তারা এ ব্যাপারে পুরোপুরি ব্যর্থ। ফলে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার দায় তাদের। ফেডারেশনের তরফ থেকে আবার ম্যাচের ফুটেজ দেখিয়ে বলা হয় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বিরতির পর নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তাছাড়া ওই মাঠেই মোহনবাগান চারটি ম্যাচ ইতিমধ্যেই আয়োজন করে ফেলেছে। ফলে মাঠের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ জানানো তাঁদের সাজে না। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা বিরতির পর যদি মাঠে নামতে পারেন, মাঠ প্রদক্ষিণ করে যদি দর্শকদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন তাহলে মোহনবাগান ফুটবলাররা কেন নামলেন না, সেই প্রশ্ন তোলেন ফেডারেশনের আইনজীবীরা।
মোহনবাগানের তরফ থেকে শনিবার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সচিব অঞ্জন মিত্র, অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। মোহনবাগানের পক্ষে আইনজীবি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গীতানাথ গাঙ্গুলি, সৌরভ গাঙ্গুলি, সৌম্য চক্রবর্তি। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ছিলেন ঊষানাথ ব্যানার্জি, জয়দীপ কর, বিল্লোদল ভট্টাচার্য। তবে শুনানিতে ফেডারেশনের কোনও কর্তা উপস্থিত ছিলেন না।