ডিকার গোলে ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের। যুবভারতীতে করিমকে হারালেন কোলাসো

একটু পরেই শুরু হবে মরসুমের প্রথম ডার্বি। ইলিশ-চিংড়ির লড়াইকে ঘিরে উত্তাপ বাংলার গলি থেকে রাজপথে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দর্শকরা ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন। গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান, বেহালা থেকে বেলগাছিয়া, টালা থেকে টালিগঞ্জ রাস্তায় হয় সবুজ মেরুন না হয় লাল হলুদ পতাকা। ট্রাক, গাড়ি কিংবা বাইকে চড়ে যুবভারতীতে যাওয়ার পথে পতাকা ওড়ানোর প্রতিযোগিতাও চলছে।

Updated By: Nov 24, 2013, 07:24 PM IST

ইস্টবেঙ্গল (১) মোহনবাগান (০) (লারানডিকা)
মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতল ইস্টবেঙ্গল।কলকাতা ময়দানে কোচ হিসাবে নিজের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করলেন আর্মান্দো কোলাসো।লালরিনডিকার অনবদ্য গোলে যুবভারতীতে মোহনবাগানকে হারাল সবুজ-মেরুন। ফ্যালোপার পরিবর্তে সবে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়েছেন।তাই কাজটা মোটেই সহজ ছিল না গোয়ান আর্মান্দোর কাছে। ম্যাচ যে লাল-হলুদ কোচের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল কতটা খুশি তিনি।
প্রথমার্ধে কিংশুককে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসাবে রেখে ওডাফাকে এরিকের পেছন থেকে খেলান করিম। কাউন্টার অ্যাটাকের উপরই ভরসা করেছিলেন মোহনবাগান কোচ। খেলার শুরুতেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েগেছিল সবুজ-মেরুন। ওডাফার সাজানো পাস থেকে গোল করতে পারেননি কেনিয়ার এরিক।কেনিয়ার স্ট্রাইকারের শট অনবদ্য সেভ করেন অভিজিত মন্ডল।
উল্টোদিকে প্রথমার্ধে লাল-হলুদের দাপট ছিল বেশি।যদিও সবুজ-মেরুনের জমাট ডিফেন্সের কাছে বারবার আটকে যাচ্ছিলেন চিড্ডিরা। বিরতির আগে ডিকার ডিফেন্সে চেরা পাস থেকে গোলের সুযোগ এসেছিল সুয়েকার সামনে। কিন্তু শিল্টনকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি জাপানি মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরোয় মোহনবাগান।
কাতসুমির জায়গা বদলে দিয়ে রাম মালিককে নামান মোহনবাগান কোচ। প্রীতম কোটালের মাপা ক্রশ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ওডাফা।কিছুক্ষণ পর ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে তছনছ করে দিয়েও গোল করতে পারেননি মোহনবাগান অধিনায়ক। ওডাফার শট বাঁচান সেই অভিজিত মন্ডল।
ডিকার পাশে লাল-হলুদের জয়ের নায়ক অবশ্যই তাদের গোলকিপারও।বাহাত্তর মিনিটে অনবদ্য গোলে ইস্টবেঙ্গলে এগিয়ে দেন লালরিনডিকা। প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে নেওয়া দুরন্ত শটে শিল্টনকে পরাস্ত করেন তিনি।তারপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহনবাগান।
সেই ডার্বি ম্যাচ কী কী ঘটল দেখুন টেক্সট কমেন্ট্রেি--

খেলা শেষ। যুবভারতীতে উত্‍সব শুরু। আর্মান্দো কোলাসো হাত মুঠো করে ঝাঁকালেন। ইস্টবেঙ্গলের কর্তা-ফুটবলররা জয়ের উত্‍সব করলেন। লাল হলুদ সমর্থকরা স্টেডিয়ামে আনন্দে ফেটে পড়লেন।
৯০ মিনিট- সুয়েকাকে তুলে গুরবিন্দর সিংকে নামালেন কোলাসো। সময় নষ্টের খেলার পরিবর্তন বলে অনেকেই বলছেন। ইনজুরি টাইম ৩ মিনিট।
৮৫ মিনিট--উউউ... মিস। ওডাফার শটটা স্টেডিয়ামের এক প্রান্ত থেকে দেখে মনে হল জালে ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু না,, গোল হল না। এখনও ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে।
মোহনবাগানে পরিবর্তন। শঙ্কর ওঁরা নামলেন হ্যারিসনের পরিবর্তে।
গোল করার পর হলুদ কার্ড দেখলেন লালরানডিকা।
৭২ মিনিট- গোললললল। ১-০ এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করলেন লালরানডিকা।
৭১ মিনিট-চোট পেলেন মেহতাব। মেহতাব মাঠ ছাড়েলন। পরিবর্ত নামলেন টুলুঙ্গা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হল। দু দলের সমর্থকরা আশাবাদী এবার গোল হবে।
এই দুটো পরিবর্তনের পর ম্যাচের ফলে কি পরিবর্তন আসবে, গবেষণা শুরু যুবভারতী জুড়ে।
৬৫ মিনিট- কোলাসো লোবোকে তুলে নিয়ে নালেন জেমস মোগাকে।
৬৪ মিনিট-করিম তুলে নিলেন সাবিথকে। সাবিথরে পরিবর্তে নামলেন রাম মালিক।
৬০ মিনিট-সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট মোহনবাগানের। ডান দিক থেক দারুণ একটা বল এল ওডাফার কাছে। ওডাফার হেডার জমা পড়ল অভিজিত্‍ মণ্ডলের হাতে।
৫৫ মিনিট- জেমস মোগা পরবির্ত হিসাবে মাঠে নামবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গ্যালারি একেবারে চিত্‍কারে ফেটে পড়ল।
বিরতির পর খেলা শুরু।
মোহনবাগান (০) ইস্টবেঙ্গল (০)
৪৫ মিনিট--আজকের ম্যাচের সেরা মিস। সুয়েকা এ কী করলেন...মোহন ডিফেন্সের ভুলের সুযোগে গোল পেয়ে যেত ইস্টবেঙ্গল, কিন্ত সুয়েকা সুযোগ নষ্ট করলেন। শিলটন দুর্গ রক্ষা করলেন। হাফটাইমের বাঁশি বেজে গেল। গোলশূন্য থাকল মরুসমের প্রথম ডার্বির প্রথমার্ধ।
দু মিনিট অতিরিক্ত সময়।
৪৪ মিনিট-হলুদ কার্ড দেখলেন সুয়েকা। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক। কারণ সুয়েকাকে ফেলে দিয়েছিলেন মোহনবাগানের রডরিগেস। কিন্তু রেফারি সুয়েকাকে কার্ড দেখালেন।
মোহনবাগান (০) ইস্টবেঙ্গল (০) (৪০ মিনিট)
৩৫ মিনিট- কাজে এলো না, সহজেই ফ্রিকিক ক্লিয়ার করল মোহনবাগান ডিফেন্স।
৩৪ মিনিট- বেশ সুবিধাজনক জায়গা থেকে ফ্রিকিক পেল ইস্টবেঙ্গল।
৩২ মিনিট- ওডাফা এগোচ্ছেন। দারুণ বাঁচালেন অর্ণব মণ্ডল। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স বেশ ভাল খেলছে
৩০ মিনিট- গোলশূন্য। কিছুটা এলোমেলো ফুটবল চলছে।
২৮ মিনিট-খেলা এবার ছন্দহীন হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল প্রচুর মিস পাশ করছে। মোহনবাগান গোলের কাছে গিয়ে ছন্দ হারাচ্ছে।
২৪ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের কাউন্টার অ্যাটাক।
২০ মিনিট- বেশ ছন্দে খেলছে মোহনবাগান। ওডাফা, কাটসুমি যুগলবন্দী গোলের কাছাকাছি গেল। তবে নওবা দলকে বাঁচালেন।
১৮ মিনিট-চিডির উড়ন্ত শট চলে গেল শিলটনের মাথার উপর দিয়ে
১৫ মিনিট- ম্যাচ এবার কিছুটা শ্লথ হয়ে গেল।
১১ মিনিট- সৌভিক ঘোষের হেডার, ফ্রিকিক
১০ মিনিট- খেলা বেশ উপভোগ্য হচ্ছে
৮ মিনিট- কর্নার পেল ইস্টবেঙ্গল। তবে সুযোগ কাজে এল না।
৬ মিনিট- সহজ সুযোগ নষ্ট মোহনবাগানের।
২ মিনিট-সামান্য চোট পেলেন ওপারা।
০ মিনিট- ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজালেন রেফারি প্রতাপ সিং।
আই লিগে দশম রাউন্ডের এই ম্যাচ খাতায় কলমে মোহনবাগানের হোম ম্যাচ। তাই মোহনবাগান খেলছে সবুজ মেরুন জার্সিতে। ইস্টবেঙ্গল খেলছে হলুদ জার্সিতে।
দু দলের ফুটবলাররা মাঠে নেমে গিয়েছেন। মাঠ প্রায় ভর্তি। দু দলের সমর্থকদের সংখ্যা প্রায় সমান সমান।
ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে প্রতাপ সিং-
দুই দলের প্রথম একাদশ-
ইস্টবেঙ্গল- অভিজিত মণ্ডল, অর্নব ,ওপারা, সৌমিক , নওবা, লোবো,মেহতাব,ডিকা, খাবরা, চিড্ডি, সুয়েকা।
মোহনবাগান-শিলটন পাল, প্রীতম, আইবর, রোয়ালসন, সৌভিক, কিংশুক, কাটসুমি, ডেনসন, সাবিথ, ওডাফা, এরিক।
আজকের ম্যাচের আগে ডার্বিতে কলকাতার দুই বড় মোট ৩০৫ বার মুখোমুখী হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল জিতেছে ১১৫টি ম্যাচে। মোহনবাগান জিতেছে ৮৫ টি ম্যাচে।

.