শুমির স্মৃতি মুছতে কপ্টার, হোটেল বিক্রি করলেন স্ত্রী
আর হয়তো কোনওদিন রেসিং কারে বসবেন না। গতিময় জীবনে ছন্দপতন ঘটেছিল ২০১৩ সালের এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। চিকিত্সার মাধ্যমে বেঁচে থাকলেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্ন কার্যত শেষ বিশ্বখ্যাত ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার মাইকেল শ্যুমাখারের। সেই চরম সত্যকে মেনে নিয়ে বাস্তবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্যুমাখারের স্ত্রী করিনা।
কোনওদিনই আর প্রিয় প্রাইভেট জেট বিমানটি চড়তে পারবেন না শ্যুমাখার। নিজের সাধের বাংলোতেও ঘুরে বেড়াবেন না তিনি। স্বামী শ্যুমাখারের প্রিয় স্মৃতিগুলোকে তাই আস্তে আস্তে মুছে ফেলতে চাইছেন স্ত্রী করিনা। শুমির প্রিয় প্রাইভেট জেটটি করিনা ইতিমধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছেন বলে খবর। বিক্রি তালিকায় রয়েছে নরওয়ের বাংলোটিও। বর্তমানে শ্যুমির একমাত্র ঠিকানা সুইজারল্যান্ডের প্রাসাদে চার দেওয়ালের মধ্যে একটি ঘর। কথা বলতে পারেন না। হাটাচলা করার ক্ষমতা নেই। মাঝে মাঝে হুইলচেয়ারের সাহায্যে তাকে ঘরের মধ্যেই ঘোরানো হয়। স্মৃতি পুরোপুরি বিলুপ্ত না হলেও স্বাভাবিক নয়।
শুমাখারের ২৪ ঘন্টা দেখভালের জন্য রাখা হয়েছে চিকিত্সক এবং কেয়ারটেকার। বিপুল চিকিত্সার ভারে কি শ্যুমাখারের প্রিয় জিনিসগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার? করিনার এই সিদ্ধান্তে নানা মহলে এই প্রশ্ন উকি মারতে শুরু করেছে ।