একটা হাত নেই, তবু এক হাতেই এল পাঁচ উইকেট
বাঁ হাতের কনুই থেকে নেই৷ ডান হাতের দুটো আঙুলও কাজ করে না৷ তাতে কী! ইচ্ছাশক্তি বলে ভগবান এমন একটা জিনিস দিয়েছেন, যা দিয়ে সব নেই ঢেকে ফেলা যায়। বাইশ গজের সুন্দর খেলায় ১৪ বছরের পি হরিহরণ সেটাই প্রমাণ করলেন। চেন্নাইয়ের এই কিশোর শুধু এক হাতে বলই করলেন না, নিলেন দু ম্যাচে পাঁচ উইকেট। হরিহরণের বোলিং অ্যাকশন দেখে বিশেষজ্ঞরা তো হতবাক। বলছেন, এভাবে কেউ বল করতে পারে ভাবা যায় না। অনুর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে নিজের এশিয়াটিক ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে দু-দুটো জয় এনে দিয়েছে এই হরিহরণ৷ একটা ম্যাচ সেরার পুরস্কার হয়েছে চেন্নাইয়ের এই লেগ স্পিনার৷
ওয়েব ডেস্ক: বাঁ হাতের কনুই থেকে নেই৷ ডান হাতের দুটো আঙুলও কাজ করে না৷ তাতে কী! ইচ্ছাশক্তি বলে ভগবান এমন একটা জিনিস দিয়েছেন, যা দিয়ে সব নেই ঢেকে ফেলা যায়। বাইশ গজের সুন্দর খেলায় ১৪ বছরের পি হরিহরণ সেটাই প্রমাণ করলেন। চেন্নাইয়ের এই কিশোর শুধু এক হাতে বলই করলেন না, নিলেন দু ম্যাচে পাঁচ উইকেট। হরিহরণের বোলিং অ্যাকশন দেখে বিশেষজ্ঞরা তো হতবাক। বলছেন, এভাবে কেউ বল করতে পারে ভাবা যায় না। অনুর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে নিজের এশিয়াটিক ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে দু-দুটো জয় এনে দিয়েছে এই হরিহরণ৷ একটা ম্যাচ সেরার পুরস্কার হয়েছে চেন্নাইয়ের এই লেগ স্পিনার৷
শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য এক সময় কোনও ক্রিকেট অ্যাকাডেমিই হরিহরণকে ভর্তি নিতে চায়নি৷ সেই সময় এশিয়াটিক ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ আর চন্দ্রশেখর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার৷
জন্মের সময় বাঁ হাতে কোনও সমস্যা ছিল না হরিহরণের৷ চিকিত্সার গাফিলতিতে মাত্র ছ’মাস বয়সে হাতে গ্যাংগ্রিন হওয়ায় কনুই থেকে হাত কেটে বাদ দিতে হয়৷ তারপরেও মাঠে নেমেছে সে৷
হরিহরণ বলছেন, 'আমার কোনও সমস্যা নেই৷ মাঝে মাঝে ভুলেও যাই যে বাকিদের মত আমার দুটো হাত নেই। আমি নিজেকে অন্য ক্রিকেটারদের চেয়ে আলাদা করে দেখি না৷আমি লেগ স্পিন করি এবং বেশ জোরের সঙ্গে করতে পারি৷ গুগলিতেও কোনও সমস্যা হয় না৷'