দুর্বল ডিফেন্স পৈলানের বিরুদ্ধে বাগানের সহজ জয় কঠিন করল
বিরতির পর আইলিগের প্রথম ম্যাচেই পৈলান অ্যারোজের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জিতল মোহনবাগান। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে এগিয়ে গেলেও ডিফেন্সের অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য দুটি গোল হজম করতে হয় ইচেদের। এরপর আক্রমণ দূরে থাক,করিম ব্রিগেড ব্যস্ত হয়ে পড়ল ডিফেন্স সামলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য।
বিরতির পর আইলিগের প্রথম ম্যাচেই পৈলান অ্যারোজের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জিতল মোহনবাগান। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে এগিয়ে গেলেও ডিফেন্সের অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য দুটি গোল হজম করতে হয় ইচেদের। এরপর আক্রমণ দূরে থাক,করিম ব্রিগেড ব্যস্ত হয়ে পড়ল ডিফেন্স সামলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য।
প্রথমার্ধের শুরুতেই সেটপিস থেকে হেডে গোল করে যান আইবর। তারপর বহুদিন গোলের মধ্যে না থাকা টোলগের দুরন্ত গোল। পৈলান ডিফেন্ডারকে আড়াল করে চকিতে দ্বিতীয় পোস্টে বল রেখে টোলগের দুরন্ত গোল ম্যাচে নজর কাড়ে। তার তিন মিনিটের মধ্যে আবার গোল টোলগের। পৈলান ডিফেন্সে জটলার মধ্যে টোলগের দ্বিতীয় গোলের সুবাদে কুড়ি মিনিটেই তিন-শূন্য গোলে এগিয়ে যায় বাগান শিবির।
সবুজ-মেরুন সমর্থকরা তখন বড় ব্যবধানে জয়ের আশা দেখছেন।কিন্তু ম্যাচে তারপরে যত সময় গড়িয়েছে করিমের দল যেন ততই খোলসে ঢুকে পড়েছে। কোনও পজিটিভ মুভমেন্ট নেই।বরং আর্থার পাপাসের বিদেশিহীন তরুনতুর্কি দল তখন মেহরাজ-ইচেদের তুর্কিনাচন নাচাচ্ছে। চল্লিশ মিনিটে সাইজুর গোলে ব্যবধান কমায় পৈলান অ্যারোজ। প্রথমার্ধে তিন-এক ফলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শুরুতেই মোহনবাগানের জালে জড়াল আরও একটা বল।ইস্টবেঙ্গল থেকে আসা লেনের দুরন্ত গোলে পৈলান অ্যারোজ আরও ব্যবধান কমায়। মোহনবাগান ডিফেন্সে তখন কাঁপুনি। হোলিচরন-লেন-মিলন সিংদের আক্রমনে মাঝেমধ্যেই বাগান ডিফেন্সে তৈরি হচ্ছিল বড় ফাঁক। শেষপর্যন্ত তিন-দুই ফলে জয় পেলেও,মোহনবাগানকে এই ম্যাচ কিন্তু আগামি দশটি ম্যাচের আগে সতর্কবাণীই দিয়ে গেল।