বিশ্বকাপ ফাইনালে জিদানের গুঁতো! ১৪ বছর পর প্রকাশ্যে এল নেপথ্য কাহিনি

অবশেষে ঘটনার চোদ্দ বছর পর প্রকাশ্যে এল ২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে জিদানের সাথে মাতেরাৎজ্জি-র গন্ডগোলের নেপথ্যের ঘটনা।  

Updated By: May 4, 2020, 07:45 PM IST
বিশ্বকাপ ফাইনালে জিদানের গুঁতো! ১৪ বছর পর প্রকাশ্যে এল নেপথ্য কাহিনি

নিজস্ব প্রতিবেদন: ফিফা বিশ্বকাপে যতগুলো স্মরণীয় ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে তার মধ্যে অন্যতম ২০০৬ সালে ইতালি বনাম ফ্রান্সের ফাইনালে, জিনেদিন জিদানের গুঁতো। ইতালির ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জিকে বুকে মাথা দিয়ে গুঁতো দিয়ে জীবনের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে লালকার্ড দেখতে হয়েছিল ফ্রান্সের অধিনায়ককে। সেইসঙ্গে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। কেন মাথা গরম করে জিদানের মতো এত ভদ্র ফুটবলার সেদিন তাঁর শেষ বিশ্বকাপে কালো দাগ রেখে গেলেন?

কি বলেছিলেন মাতেরাজ্জি? গত চোদ্দ বছর ধরে এই নিয়ে কম চর্চা হয় নি। জিদান-মাতেরাজ্জির সেই গণ্ডগোলকে নিয়ে নানা মুনির নানা মত ছিল। কিন্তু এই নিয়ে দু'জনের কেউ এতদিন মুখ খোলেন নি। যার ফলে প্রকৃত সত্য কখনই প্রকাশ্যে আসে নি। অবশেষে ঘটনার চোদ্দ বছর পর প্রকাশ্যে এল ২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে জিদানের সাথে মাতেরাৎজ্জি-র গন্ডগোলের নেপথ্যের ঘটনা।  

জানালেন ইতালিয় ডিফেন্ডার নিজেই। ইতালিয় সংবাদমাধ্যম PassionerInter-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাতেরাৎজ্জি জানান ," ম্যাচের মাঝামাঝি সময় থেকে আমাদের মধ্যে ছোটখাটো স্লেজিং চলছিল। প্রথমার্ধে জিদান গোল করার পর কোচ মারসেলো লিপ্পি আমাকে বকা দিয়ে জিদানকে মার্ক করতে বলে। প্রথমবার আমাদের মধ্যে ঠোকাঠুকি হওয়ার পর আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু জিদান আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেনি। এরপর ট্যাকেল, স্লেজিং চলতে থাকে। ১১০ মিনিট পর সেটা চরমে ওঠে। এরপর জিদানের জার্সি টেনে ধরি আর  ধাক্কাধাক্কি হয়। জিদান আমার কাছে এসে বলে "আমার জার্সিটা তোমাকে পরে দিয়ে দেব।" আমি বলেছিলাম, "তোমার জার্সিতে আমার কোন আগ্রহ নেই বরং তোমার বোনকে দিলে নিয়ে নেব।"
ব্যস, এই কথাতেই জিদানের মাথায় রক্ত চড়ে যায়। তার পরের ঘটনা আপনারা সবাই জানেন এবং টেলিভিশনের দৌলতে সবাই দেখেছিলেন।"

যদিও বিশ্বকাপের কয়েকবছর পর জিদান তাঁর কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। আর জানিয়েছিলেন,  এই কাজের জন্য তিনি গর্বিত নন। সব খেলোয়াড়দের বলেছিলেন যাতে এইধরণের আচরণ না করেন।

আরও পড়ুন - কোন বোলারকে খেলা সবচেয়ে কঠিন, জানালেন রোহিত শর্মা

.