BEN vs MP | Ranji Trophy 2022-23: মহারণের প্রাক্কালে দেশের জাগ্রত এই মন্দিরে মহাদেবের আরাধনায় মনোজরা
ManojTiwary, LR Shukla visits Mahakal Temple in Ujjain before Ranji Trophy Semi-Final: আগামী বুধবার থেকে শুরু বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশ রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনাল। এই মুহূর্তে দল রয়েছে ইন্দোরে। মহাযুদ্ধে নামার আগে লক্ষ্মীরতন শুক্লা মনোজ তিওয়ারিরা শিবশক্তির আরাধনা করলেন। বাংলা দলের হেভিওয়েট সদস্যরা উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে এলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিন দিন আগেই রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের (Ranji Trophy Semi-Final 2022-23) টিকিট কনফার্ম করেছে টিম বাংলা (Bengal)। ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) চতুর্থ দিনের সকালেই বঙ্গ বোলারদের দাপটে, বাংলা ৯ উইকেটে ঝাড়খণ্ডকে হারিয়ে চলে গিয়েছে রঞ্জির শেষ চারে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বুধবার থেকে শুরু হবে শেষ চারের ম্যাচ। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে বাংলা গতবারের চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধে নামবে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার বিকেলেই কলকাতা থেকে ইন্দোরের উড়ান ধরেছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (LR Shukla) ও মনোজ তিওয়ারিরা (ManojTiwary)। সোমবার সকালে অনুশীলনের পর লক্ষ্মী-মনোজদের দেখা গেল শিবশক্তির আরাধনা করতে। এদিন উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে (Mahakal Temple, Ujjain) গিয়ে পুজো দিলেন তাঁরা। দেবাদিদেব মহাদেবের পূজিত হন দেশের অত্যন্ত জাগ্রত এই মন্দিরে। বাংলার হেড কোচ ও অধিনায়ক ছাড়াও ছিলেন দলের বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পাল (SS Paul)। সোমের সন্ধ্যায় সিএবি (Cricket Association of Bengal) সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করেছে। গতবার এই মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরেই রঞ্জির শেষ চার থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলা। ছন্দে থাকা বাংলা চাইবে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে ফাইনাল ল্যাপে যেতে।
গতবার এই মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরেই রঞ্জির শেষ চার থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলা। হরিয়ানাকে এক ইনিংস ও ৫০ রানে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গিয়েছিল বাংলা। তখন জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীর থেকে জানতে চেয়েছিল যে, বাংলা দারুণ খেলেও সেমি বা ফাইনালে গিয়ে চোক করে যাচ্ছে। ফিনিশিং লাইন আর পার করা হচ্ছে না। বারবার এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে বাংলা দল কী ভাবছে? সৌরাশিস বলছিলেন, 'এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই। তবে এটারও কিন্তু দু'টি দিক রয়েছে। একটা টিম যখন প্রতিবার সেমিফাইনাল বা ফাইনাল খেলছে, তার মানে দলটার ধারাবাহিকতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। ভাবনা একটাই যে, এই টিমটা ট্রফি জিতছে না কেন! এটা নিয়েই আমরা ভাবিত। আসলে জেতাটা প্রক্রিয়ার মতো। ঘুম থেকে উঠে রাতারাতি জেতা যায় না। দেখুন জকোভিচ, ফেডেরার বা নাডালরা যখন কোনও টুর্নামেন্টে নামেন, ওঁরা কিন্তু ফেভারিট হয়েই নামেন। কারণ বছরের পর বছর জিতে ওই জায়গাটা ওঁরা তৈরি করে এসেছেন, প্রত্যাশা থাকে যে, ওঁরা জিতবেন। বাংলাও কিন্তু নিজেদের একটা মানদণ্ড তৈরি করে ফেলেছ। যা অত্যন্ত ওপরের দিকেই। আমাদের এরপর জয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারলেই, নিশ্চয়ই ট্রফি আসবে।' এখন দেখার বাংলা রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কিনা!