Lionel Messi: নির্বাসন কাটিয়ে ফের ৯০ মিনিটের যুদ্ধে নামছেন মেসি
গত ৩০ এপ্রিল লঁরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই পরিবারসহ সৌদি আরবে চলে যান মেসি। অনুমতি ছাড়া মেসির সেই সৌদি আরব সফর নিয়ে ফুটবল-বিশ্বে ঝড় বয়ে যায়। সৌদি আরবের পর্যটন দূত হিসেবে এই সফর ছিল মেসির পূর্বনির্ধারিত।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে (Saudi Arabia) যাওয়ার জন্য লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) দুই সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত করেছিল প্যারিস সাঁ জা-র (Paris Saint-Germain)। সেই নির্বাসন কাটিয়ে ২১ মে অঁজার বিরুদ্ধে ৯০ মিনিটের যুদ্ধে ফিরছেন 'এলএম টেন' (LM 10)।
ক্লাবের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় নির্বাসন থেকে মুক্তি পেয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। সেটা ইতমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন দলের কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে (Christophe Galtier)। অনুশীলনেও আর্জেন্টিনার (Argentina) বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে খোশমেজাজে অনুশীলন করতে দেখা যায়।
মেসির খেলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়ে গালতিয়ে বলেছেন, "মেসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। পিএসজি-র হয়ে লিগ ওয়ান জেতার জন্য ও মুখিয়ে আছে। আর তাই অঁজার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই মাঠে থাকবে মেসি।" মেসি ফেরায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। পিএসজি-র আর এক গোলমেশিন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Embappe)।
আরও পড়ুন: Wrestlers Protest: মূল অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের বয়ান রেকর্ড, যৌন হেনস্থা মামলায় সিট গঠন করল দিল্লি পুলিস
গত ৩০ এপ্রিল লঁরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই পরিবারসহ সৌদি আরবে চলে যান মেসি। অনুমতি ছাড়া মেসির সেই সৌদি আরব সফর নিয়ে ফুটবল-বিশ্বে ঝড় বয়ে যায়। সৌদি আরবের পর্যটন দূত হিসেবে এই সফর ছিল মেসির পূর্বনির্ধারিত। যদিও ক্লাবকে না জানিয়ে সৌদি আরব চলে যাওয়ার জন্য পিএসজি তাঁকে দুই ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করেছিল।
এদিকে পিএসজি-র সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত। যদিও সংবাদ সংস্থা এএফপি দাবি করেছিল, আগামী মরসুমে ‘বিশাল অঙ্কের চুক্তি’তে সৌদি আরবের একটি ক্লাবে খেলবেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা। সেই চুক্তিও নাকি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে মেসির বাবা ও এজেন্ট জর্জ মেসির (George Messi) দাবি সংবাদমাধ্যম গোটা বিষয় নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করছে। এমনকি এই ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এমনকি মেসির সৌদি আরব (Saudi Arabia) যাত্রা নিয়ে যাবতীয় খবর একেবারেই ভালোভাবে নেননি মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো (Antonela Roccuzzo)। ফ্রান্সের পত্রিকা লেকিপ এমনটাই দাবি করেছিল। লেকিপের দাবি, সৌদি আরবের ফুটবলে মেসির নাম লেখানো নিয়ে দ্বিধায় আছেন তাঁর স্ত্রী।