WATCH | Lionel Messi: বিশ্বকাপ ফাইনালে এখনও আচ্ছন্ন মেসি! এমবাপের পারফরম্যান্স নিয়ে করলেন বিরাট মন্তব্য
Lionel Messi hails Mbappes hat-trick in beautiful World Cup final: কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে এখনও আচ্ছন্ন মেসি! ভুবনজয়ী দলের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপের পারফরম্যান্স নিয়ে এবার বিরাট কথা বলে দিলেন। যা শোনার পর মেসির ওপর শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যাবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাতার বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) শুরু হওয়ার আগে থেকেই, একটা কথাই বারবার সকলে বলছিলেন, লিওনেল মেসির (Lionel Messi) হাতে কাপ না উঠলে সম্ভবত 'পোয়েটিক জাস্টিস' হবে না। আর ফুটবল বিধাতা সেটাই করেছিলেন। মেসির মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। লুসেল স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের ফয়সলা হয়েছিল পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসে। আর এই ম্যাচে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েও ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে থেকে গিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। গোটা আর্জেন্টিনা দলের বিরুদ্ধে একজন মাত্র লড়েছিলেন। তিনি এমবাপে। ফুটবল ইতিহাসে এমবাপের লড়াইয়ের কথা সোনার হরফে লেখা থাকবে। এমবাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এর সঙ্গে পেনাল্টি শ্যুটআউটেও করেছিলেন গোল। এবার এমবাপের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বললেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)।
পিএসজি-র ইউটিউব চ্যানেলে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে লিও যা বলেছেন, তা শোনার পর আবারও বলতে হবে, 'রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান'। মেসি বলেন, 'একটা রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ছিল কাতার। যেভাবে খেলা চলেছিল, তা নিছকই পাগলামি! কিলিয়ানের পারফরম্যান্সও অসাধারণ ছিল। ফাইনালে তিন গোল করা এবং চ্যাম্পিয়ন না হওয়া, এটা ভাবা যায় না। যদিও কিলিয়ান বিশ্বকাপ জিতেছে। ও জানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ কেমন। এটা বলব যে ফুটবল ফ্যানদের জন্য অসাধারণ একটা ফাইনাল ছিল। তবে এখন আমি আর কিলিয়ান এক টিমে খেলছি। আশা করি প্যারিসে দারুণ কিছু করতে পারব আমরা।'গত শনিবার লিগ ওয়ানে পিএসজি খেলতে নেমেছিল নানতেসের বিরুদ্ধে । ঘরের মাঠ পার্স দেস প্রিন্সেসে ৪-২ জয়ের রাতেই এমবাপে লিখে ফেললেন ইতিহাস। ম্যাচের ৯২ মিনিটে এমবাপের পা থেকে এসেছিল গোল। আর পিএসজি-র হয়ে এটিই হয়ে যায় তাঁর ২০১তম গোল। ১৯৭০ সালে তৈরি হয় পিএসজি। ৫২ বছরের পুরনো ক্লাবে এর আগে একমাত্র একজন ফুটবলারই গোলের ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরেছিলেন। তিনি এডিনসন কাভানি। উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের ঝুলিতে ছিল কাঁটায় কাঁটায় ২০০ গোল। এমবাপে তাঁর গদি কেড়েই বসেছেন সিংহাসনে। এমবাপে-কাভানির পর রয়েছেন জালাটন ইব্রাহিভোমিচ (Zlatan Ibrahimovic)। ইব্রা করেছিলেন ১৫৬ গোল। এরপর চারে নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলের পোস্টারবয় করেছেন ১১৮ গোল। পাঁচে পর্তুগালের পেদ্রো মিগুয়েল পাউলেতা। তিনি পিএসজি-র জার্সিতে করেছিলেন ১০৯ গোল।