Lionel Messi: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতোই সমর্থকদের কটাক্ষ হজম করলেন মেসি
গত ৩০ এপ্রিল লঁরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই পরিবারসহ সৌদি আরবে চলে যান মেসি। অনুমতি ছাড়া মেসির সেই সৌদি আরব সফর নিয়ে ফুটবল-বিশ্বে ঝড় বয়ে যায়। সৌদি আরবের পর্যটন দূত হিসেবে এই সফর ছিল মেসির পূর্বনির্ধারিত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুই ম্যাচ নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। তাঁর দল প্যারিস সাঁ জা-র (Paris Saint-Germain) বিপক্ষ অ্যাজাসিওকে (Ajaccio) ৬-০ গোলে হারিয়েও দিল। কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe) ও আচরাফ হাকিমির (Achraf Hakimi) জোড়া গোলে পিএসজি (PSG) জিতলেও, লিওনেল মেসির (Lionel Messi) মন-মেজাজ কিন্তু ভালো নেই। কারণ চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) মতোই সমর্থকদের কটাক্ষ হজম করলেন 'এল এম টেন' (LM 10)। সৌদি আরবের (Saudi Arabia) আল নাসের এফসি-তে (Al Nassr FC) যোগ দেওয়ার পর থেকে 'সি আর সেভেন'-কেও (CR 7) এমনভাবে কটাক্ষ হজম করতে হয়েছে। ঠিক এমনভাবেই এবার হেনস্থা হলেন আর্জেন্টিনার (Argentina) মহাতারকা। একে তো তাঁর পা থেকে গোলের দেখা নেই, এরমধ্যে নিজেদের ঘরের মাঠেই এক অদ্ভুত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল তাঁকে।
অ্যাজাসিওকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লিগ ওয়ান (league 1) খেতাব জয়ের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যায় পিএসজি। কিন্তু ম্যাচের ফলকে ছাপিয়ে গেল অন্য ঘটনা। খেলা চলাকালীন যে যে মুহূর্তে মেসির পায়ে বল পৌঁছায়, তখনই স্টেডিয়াম থেকে উড়ে আসে কটাক্ষ। ‘বু…’ শব্দ তুলে মেসিকে হেয় করার চেষ্টা করে দর্শকদের একাংশ। দর্শকদের এমন আচরণ নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: Lionel Messi: বড় আপডেট! মেসির সঙ্গে চুক্তির কথা অস্বীকার করল আল হিলাল
পিএসজি সমর্থকদের কাছে হেনস্থা হওয়ার পরেও মেসি মুখ খোলেননি। তবে দলের মহাতারকার প্রতি এমন ন্যক্কারজনক ব্যবহারের জন্য ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন একাধিক পিএসজি ফুটবলার। রেনাটো স্যাঞ্চেস বলেন, "বেশ অস্বস্তিকর একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মেসির পক্ষেও ব্যাপারটা বেশ অস্বস্তিজনক ছিল, টিম এবং ক্লাবের পক্ষেও।" এমন দলের কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়েও (Christophe Galtier) ব্যাপারটা একেবারেই ভালোভাবে নেননি। তিনিও মেসির পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, "দলের ভালো ফলের একটা বড় অংশ সমর্থকদের উপর নির্ভর করে। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো পারফর্ম করতে না পারলেই, সমর্থকরা ধৈর্য হারান। মাঝেমধ্যে এমন কিছু কাজ করে বসেন, যেটা একেবারেই কাম্য নয়। ফুটবলাররাও রক্ত-মাংসের মানুষ। এটা মনে রাখা উচিত।"
আসলে যত কাণ্ড মেসির সৌদি আরব যাওয়াকে কেন্দ্র করে। ক্লাবের থেকে অনুমতি না নিয়েই পরিবারের সঙ্গে সৌদি চলে যান তিনি। এর জেরেই পিএসজি ম্যানেজমেন্টের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দু’সপ্তাহের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করে দেয় ক্লাব। এমনকী তাঁর উপর দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার উপরও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। এহেন পরিস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে নেন মেসি। তবে পিএসজি সমর্থকরা বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকারের কাজকে মেনে নেয়নি। সেটা বেশ বোঝা গেল। এদিকে পিএসজি-র সঙ্গে মেসির চুক্তি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। গত কয়েক সপ্তাহে পরিবেশ বদলে গিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মেসি প্যারিসের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাড়াবেন কিনা সেটাই দেখার।