মার্জার সরণি ছেড়ে কুমেরু অভিযানে কলকাতার সুপারমডেল

ছোটবেলা থেকেই নজর ছিল শিখরে। ১৯৯৯ সালে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট থেকে পর্বতারোহনের বেসিক কোর্স করেন। পরের বছর আরও এক ধাপ এগিয়ে সেরে ফেলেন অ্যাডভান্স কোর্সও। ২০০৩ সালে করেন পেশাদারি কোর্স।

Updated By: Jul 18, 2018, 07:05 PM IST
মার্জার সরণি ছেড়ে কুমেরু অভিযানে কলকাতার সুপারমডেল

নিজস্ব প্রতিবেদন: ফ্যাশন মডেল বললেই মনে পড়ে ঝাঁ চকচকে হোটেলে আলো ঝলমলে র্যাম্প। আর মডেলের পেশাবদল বললে, হয় ফিল্ম, নয় টিভি। কিন্তু যদি বলি না দক্ষিণ মেরু অভিযানে যাচ্ছেন এক জনপ্রিয় মডেল? হতে পারে ইউরোপ বা আমেরিকায়। না, হচ্ছে এই শহরেই। আন্টার্কটিকা অভিযানে যাচ্ছেন মডেল মাধবীলতা মিত্র। 

গত প্রায় ১ দশক ধরে কলকাতার র্যাম্প মাতিয়েছেন যিনি, সেই মাধবীলতা চলেছেন কুমেরু অভিযানে। শুধু তাই নয়, তাঁর ৫ জন সহ অভিযাত্রীর প্রত্যেকেই মহিলা। দলের নেতৃত্বে থাকবেন ব্রিটিশ অভিযাত্রী জ্যানিস মিক। জ্যানিসই একমাত্র ইউরোপিয় যাঁর ৩টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই দক্ষিণ মেরু ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছেন মাধবীলতা।

ছোটবেলা থেকেই নজর ছিল শিখরে। ১৯৯৯ সালে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট থেকে পর্বতারোহনের বেসিক কোর্স করেন। পরের বছর আরও এক ধাপ এগিয়ে সেরে ফেলেন অ্যাডভান্স কোর্সও। ২০০৩ সালে করেন পেশাদারি কোর্স। তবে এখানেই ইতি পড়ে মাধবীতলার অভিযানের নেশার। পর্বতারোহন ছেড়ে মডেলিংয়ে মন দেন তিনি। এর মধ্যেই কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা জেতেন তিনি। তার পর থেকে টানা ১০ বছর মডেলিংয়েই মন দেন মাধবীলতা। 

পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে বিয়ের পর থেকে। ফের অভিযানে যেতে উত্সাহ দিতে শুরু করেন মাধবীলতার স্বামী ভূপেশ গুপ্ত। ভূপেশ নিজেও একজন অভিযাত্রী। মূলত তাঁর উত্সাহেই ফের কসরত্ শুরু করেন মাধবীলতা। শুরু হয় দু'বেলা দৌড়ানো সাঁতার কাটা। সঙ্গে ভারী জিনিস নিয়ে হাঁটার প্রশিক্ষণ। 

WBCSSC Recruitment 2018: Group C ও D-তে শ'য়ে শ'য়ে লোক নিচ্ছে রাজ্য সরকার

বুধবার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে জ্যানিস, মাধবীলতা। অভিযানে অংশগ্রহণ করবেন ২৪ বছর বয়সী ভারতীয় বাস্তুকার তনভি বাটও। দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে পারলে তনভি হবেন সব থেকে কম বয়সে সেই কৃতিত্বের অইকারী। 

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অভিযান শুরু করবে দলটি। জ্যানিস জানালেন, তখন গরম কাল হলেও কুমেরুর তাপমাত্রা থাকবে শূন্যের নীচে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাতে দমতে নারাজ দলের সদস্য। তাঁদের মুখে একটাই মন্ত্র, জয়, জয় অথবা জয়।   

.