ক্যারি প্যাকার, ক্রিকেট বিপণনের 'সেলসম্যান'
ক্রিকেটের বদলে যাওয়ার ইতিহাস বলতে হলে ক্যারি প্যাকারকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। প্যাকার সেই মিডিয়া ব্যারন। যিনি জীবনেও কখনও ক্রিকেট না খেলেও এই খেলাটার ইতিহাস-ভূগোল সব বদলে দিয়েছিলেন। সাউন্ড অব উইলো, তারপরই সবুজ ঘাসের মধ্যে দিয়ে বুলেট গতিতে ছুটে যাচ্ছে চেরি রঙের বল।
ওয়েব ডেস্ক: ক্রিকেটের বদলে যাওয়ার ইতিহাস বলতে হলে ক্যারি প্যাকারকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। প্যাকার সেই মিডিয়া ব্যারন। যিনি জীবনেও কখনও ক্রিকেট না খেলেও এই খেলাটার ইতিহাস-ভূগোল সব বদলে দিয়েছিলেন। সাউন্ড অব উইলো, তারপরই সবুজ ঘাসের মধ্যে দিয়ে বুলেট গতিতে ছুটে যাচ্ছে চেরি রঙের বল।
সবুজ গালিচায় যোদ্ধাদের সবার গায়েই সাদা পোষাক। প্রথম বদলটা আসে সাতের দশকে। উদ্যোক্তা কেরি প্যাকার।
বিপণনের দৌলতে ক্রিকেট যে ব্যবসার ঠিকানা হতে পারে, ধুরন্ধর মিডিয়া ব্যারন প্যাকার তা আগাম টের পেয়েছিলেন। সেজন্য ১৯৭৬-এ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের স্বত্ব কিনতে মাঠে নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু বোর্ড বেঁকে বসায় সেবার কেবল টেলিভিশন স্বত্বটাই জুটেছিল। তবে হাল ছাড়েননি প্যাকার। আইসিসিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শুরু করেছিলেন ওয়ার্ল্ড সিরিজ।
পুরনোপন্থীরা বিতর্কিত এই সিরিজকে বললেন প্যাকার সার্কাস। কৌলিন্য ছেড়ে প্যাকারের ক্রিকেটে নাম লেখানোয় আইসিসির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন ইংল্যান্ডের অধিনাক টনি গ্রেগ সহ বহু দেশের নামী ক্রিকেটারর।
তবুও আইসিসির রক্ত চক্ষু সত্বেও কিন্তু জনপ্রিয়তা পেল নতুন ফর্মাটের এই খেলা। যাতে বড় ভূমিকা নিল প্যাকারের সংস্থা চ্যানেল নাইন। রিচি বেনোর কীংবদন্তী ধারাভাষ্যের সঙ্গেই নতুন ক্রিকেট ছড়িয়ে পড়ল নানা প্রান্তের মানুষের ড্রয়িং রুমে। এতে ক্রিকেট কতটা কৌলিন্য হারালো না নিয়ে বিতর্ক থামার নয়। তবে আধুনিক ক্রিকেটে বর্তমান চেহারার বদলটা যে প্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজই শুরু করেছিল তা নিয়ে আজ কোনও দ্বিমত নেই ক্রিকেট দুনিয়ায়।