তোমায় কুর্ণিশ জানাচ্ছে গোটা বাংলা, সেলাম ঝুলন
ওয়েব ডেস্ক: নদিয়া জেলা থেকে রাজপথ। যাবতীয় প্রতিকুলতাকে পিছনে ফেলে বাইশ গজে বল হাতে ঝড় তোলা। ঝুলন গোস্বামীর কেরিয়ার গ্রাফটা একবার দেখে নেব। নদিয়ার চাকদহ থেকে কলকাতার সবুজ মাঠ। দু দশক আগে শুরু হওয়া সেই লড়াইটা কঠিন বললেও কম বলা হয়। ঝড়,জল,তীব্র প্রতিকুলতাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সেই লড়াই। প্রতিদিনের সেই লড়াইটা ছিল বাইশ গজে ছাপ ফেলার। তবে সামনের সব চ্যালেঞ্জকে অতিত্রম করতে সফল হয়েছিলেন ঝুলন গোস্বামী। মাত্র উনিশ বছর বয়সেই ভারতীয় দলে জায়গা করে নেন বাংলার এই ফাস্ট বোলার। বাকিটা তো ইতিহাস। দেড় দশর ধরে ফাইটার ঝুলনের আগুনে স্পেলের সামনে দাঁড়াতে পারেননি বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানেরা। বয়স বেড়েছে। ঝুলনের বলের ধার কমেনি। উল্টে বাইশ গজে নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছেন বারবার। ২০০৭ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নজির গড়েন বাংলার এই কণ্যা।
আরও পড়ুন সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের পর গোটা ভারতীয় দল মাতল সেলিব্রেশনে
বিসিসিআইয়ের বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হন এই পেসার। কয়েক বছরের ব্যবধানে অর্জন পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় ভারতের এই ক্রিকেটারকে। সাফল্য অবশ্য ঝুলনের মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারেনি। মাঝে একটা সময় ভারতীয় দলের অধিনায়িকা হন ঝুলন। তারপর সময় গড়িয়েছে। দেশের জার্সিতে চার চারটে বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন চাকদহ এক্সপ্রেস। মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে ঝুলনই এখন সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী। ২০০ উইকেটের মাইলস্টোন থেকে এখন মাত্র ৫ উইকেট দুরে ঝুলন। ৩৪শে পা দিলেও বল হাতে ঝুলনের খিদে কমেনি এতটুকু। বিশ্বকাপ হয়তো জেতা হয়নি। তবে বাংলা তথা ভারতের মহিলা ক্রিকেটের আইকন নদিয়ার এই মেয়ে। ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা যে ঝুলন। তাই তোমায় কুর্ণিশ জানাচ্ছে গোটা বাংলা। সেলাম ঝুলন।
আরও পড়ুন প্রথম টেস্ট জিতেও কলম্বোতে ওপেনিং জুটি ঠিক করতে নাজেহাল বিরাট