এই সঙ্কটের সময় ঘরই হোক মসজিদ, লকডাউনে অভিনব বার্তা পাঠান ভাইয়ের

করোনা মোকাবিলায় দুস্থ ও অসহায় মানুষদের জন্য দশ হাজার কেজি চাল ও ৭০০ কেজি আলু দান করেছিলেন পাঠান ভাতৃদ্বয়। 

Updated By: Apr 8, 2020, 02:10 PM IST
এই সঙ্কটের সময় ঘরই হোক মসজিদ, লকডাউনে অভিনব বার্তা পাঠান ভাইয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনাভাইরাসের বিস্তার রুখতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দেশের বহু জায়গায় বহু মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে প্রায় রোজই। এমনটা করলে যে সমূহ বিপ অপেক্ষা করছে সে কথা প্রশাসনের তরফে বারবার বোঝানো হচ্ছে। তবুও হুঁশ ফিরছে না কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের। তাঁরা নিজেদের এবং অন্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। ঘরবন্দি থাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষ মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারছেন না। তবে বেশ কিছু জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ বাড়ির ছাদে ভিড় করে নামাজ পড়ছিলেন বলেও জানিয়েছিল প্রশাসন। সেইসব মানুষদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছে পুলিস। কিন্তু সচেতনতা যেন নেই। এবার তাই সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে মাঠে নামলেন ইরফান পাঠান।

বাবার নামে মেহমুদ খান পাঠান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট শুরু করেছিলেন ইরফান ও ইউসুফ পাঠান। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় দুস্থ ও অসহায় মানুষদের জন্য দশ হাজার কেজি চাল ও ৭০০ কেজি আলু দান করেছিলেন পাঠান ভাতৃদ্বয়। এই প্রথম নয় অবশ্য। এর আগে বন্যার সময়ও দুই ভাই বহু মানুষের মুথে খাবার তুলে দিয়েছিলেন। যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ই পাঠান ভাইদের মানবিক উদ্যোগ দেখা যায়। এবারও তাই দুর্যোগের সময় তাঁরা দুস্থদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। শুধু তাই নয়, লোকজনকে সচেতনও করছেন তাঁরা।

আরে পড়ুন— ৫৯ লাখ টাকা দিয়েও ঢাক পেটালেন না গাওয়াস্কার! কেন ৫৯ লাখই দিল বাবা, জানাল ছেলে

ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিটো বার্তায় ভারতের প্রাক্তন তারকা বলেছেন, মসজিদে যাওয়া নিষেধ নয় এই সময়, এমনটা ভাববেন না।  বরং এটা ভাবুন, আমাদের ঘরটাকেই কীভাবে মসজিদ বানিয়ে নেওয়া যায়! আমাদের মতো আমাদের ঘরগুলোও এখন গুনাহগার। আসুন ঘরগুলোকেও শুদ্ধ করি আমরা সবাই মিলে। কিছুদিন ঘরেই নামাজ পড়ি আমরা সবাই মিলে। এই দুর্যোগের সময় কেটে গেলে আমরা আবার মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা করব সবাই মিলে। 

.