IPL 2021, RCB vs KKR: জয়ের হ্যাটট্রিক কোহলিদের, ব্য়াক-টু-ব্যাক হার কলকাতার

আইপিএলে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল বিরাট কোহিল অ্যান্ড কোং। রবিবাসরীয় ডাবল হেডারের প্রথম ম্য়াচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অনায়াসে হারিয়ে ফের লিগ টেবিলের শীর্ষে আরসিবি। 

Updated By: Apr 18, 2021, 07:18 PM IST
 IPL 2021, RCB vs KKR: জয়ের হ্যাটট্রিক কোহলিদের, ব্য়াক-টু-ব্যাক হার কলকাতার

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ২০৪/৪
কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৬৬/৮
৩৮ রানে জয়ী আরসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: আইপিএলে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল বিরাট কোহিল (Virat Kohli) অ্যান্ড কোং। রবিবাসরীয় ডাবল হেডারের প্রথম ম্য়াচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অনায়াসে হারিয়ে ফের লিগ টেবিলের শীর্ষে আরসিবি। প্রথমে ব্যাট করে যে দল ২০০-র ওপর রান স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলতে পারে, সেই দল নিঃসন্দেহে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকে টি-২০ ফর্ম্যাটে। বিরাটদের ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে অইন মর্গ্যানের (Eoin Morgan) নাইটরা গুটিয়ে গেল ১৬৬ রানে।

এদিন আরসিবি-র টপ অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ১২ ওভারের মধ্যে ১০০ রান তুলতে গিয়েই চলে আরসিবি হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। কোহলি ও দেবদূত পাড্ডিকলের (Devdutt Padikkal) ওপেনিং জুটিতে আসে মাত্র ৬ রান। এদিন কোহলি বরুণ চক্রবর্তীর বলে ৫ রান করে উইকেটটা দিয়ে আসেন রাহুল ত্রিপাঠীর হাতে (Rahul Tripathi)। এরপর পাড্ডিকল ২৫ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হয়ে যান। এবারও ক্যাচ নিলেন সেই রাহুল। তিনে ব্যাট করতে আসা রজত পতিদার ২ বলে ১ রান করেই ফেরেন ডাগআউটে। বরুণের দিনের দ্বিতীয় শিকার হন রজত। কিন্ত খেলার মোড় ঘোরানোর জন্য আরসিবি-র ঝুলিতে ছিল দুই অস্ত্র-ম্যাক্সওয়েল ও এবি ডিভিলিয়ার্স। ৩৭ বলে ৫৩ রান তুললেন তাঁরা জুটি বেঁধে। ৪৯ বলে ৭৮ করে ফিরলেন ম্যাক্সওয়েল। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৯টি চার ও ৩টি ছয় মারলেন তিনি। এবিডি অপরাজিত থাকলেন ৩৪ বলে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকলেন। ৯টি চার ও ৩টি ছয়ের ইনিংসে ডিভিলিয়ার্স বোঝালেন কেন তিনি আরসিবি-র ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা। চার উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরু শেষ পর্যন্ত তোলে ২০৪ রান। নিঃসন্দেহে কেকেআরের সামনে ছিল বড় টার্গেট।

আরও পড়ুন: IPL 2021: জার্সিতে লেখা প্রয়াত বাবার নাম! আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না Ben Stokes

বড় রান তাড়া করতে নেমে যে ব্যাটিংটার প্রয়োজন ছিল কেকেআরের। সেই ব্যাটিংটা করার কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না চিপকে। এমনকী ওপেনারদের মধ্যেও সেই খিদেটা দেখা গেল না। নিতীশ রানা (Nitish Rana) ও শুভমান গিলের (Shubman Gill) জুটিতে এল মাত্র ২৩টি রান। গিল ফিরে যান কাইল জেমসনের বলে ক্য়াচ আউট হয়ে। গিলের ব্যাট থেকে এল ৯ বলে ২১ রান। তিনে নামা রাহুল ত্রিপাঠীকে ২৫ রানের মাথায় ফেরান ওয়াশিংটন সুন্দর (Washington Sundar)। এরপর  দুরন্ত ফর্মে থাকা রানাও ১১ বলে ১৮ করে ফিরে যান। যুজবেন্দ্র চাহালের (Yuzvendra Chahal) ভেল্কিতে তিনি ক্যাচ তুলে দেন পাড্ডিকলের হাতে। তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকা কেকেআর ৭৪ রানে হারিয়ে ফেলে চতুর্থ উইকেট। প্রাক্তন ক্যাপ্টেন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) এদিন মাত্র ২ রান করেন। ১৪ নম্বর ওভারে ৫ উইকেট চলে যায় কেকেআরের। ক্যাপ্টেন মর্গ্যানের চেষ্টা থামে ২৯ রানে। কার্তিককে ফেরান চাহাল, মর্গ্যানকে তুলে নেন হর্ষল প্যাটেল। পাঁচ উইকেট হারানো কেকেআরকে টেনে তুলতে পারতেন আন্দ্রে রাসেল। কারণ আরসিবি-র বিরুদ্ধে তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড দুর্দান্ত। রাসেল মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। ২০ বলে ৩১ রান করেন ক্যারিবিয়ান হিটার। শাকিবও চেষ্টা করেছিলেন সঙ্গ দিতে। ২৬ রান করে পদ্মাপারের অলরাউন্ডার। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরতেই কলকাতার যাবতীয় আশা শেষ হয়ে যায়। কলকাতা হারল ৩৮ রানে।

 

 

 

.