ধারাভাষ্যকারদের Work from home, আইপিএলে এবার হয়তো বড়সড় বদল
রফান ভদোদরা থেকে, দীপ কলকাতা ও সঞ্জয় মুম্বাইতে বসে নিজেদের দায়িত্ব সামলেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন - এক নতুন পৃথিবী দেখব আমরা সবাই। সেই নতুন পৃথিবী কবে দেখব তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ এই প্রাণঘাতী ভাইরাস কবে যে বিদায় নেবে সেটা কেউই বলতে পারছেন না। কিন্তু করোনার প্রকোপ শেষ হলেই বদলে যাবে অনেক কিছু। বিশেষ করে মানুষের কাজের ধরন। এখন অনেক মানুষ বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করছেন। আজ থেকে কয়েক মাস আগেও অনেক পেশার মানুষ ও সংস্থা যেটা ভাবতেও পারত না। মূলত আইটি প্রফেশনাল যাঁরা তাঁরাই কখনও সখনও বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ পেতেন। কিন্তু করোনার প্রকোপ কমাতে দেশে লকডাউন হওয়ার পর থেকে অনেক পেশাতেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হয়েছে। অনেকেই বাড়ি থেকে কাজ করছেন ভালো মতো। অনেকে হাজার অসুবিধা সত্ত্বেও বাড়ি থেকে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া এখন আর কোনও উপায় নেই। তবে সব পেশায় তো আর বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা নেই। এই যদি বলি ধারাভাষ্যকাররা বাড়ি থেকে কাজ করছেন। মেনে নেবেন?
ম্যাচ হবে মাঠে। সেই ম্যাচের লাইভ ধারাবিবরণী বাড়ি থেকে কী করে করবেন ধারাভাষ্যকাররা! কিন্তু বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছেন, করোনা কিন্তু গোটা সমাজ ব্যবস্থার অনেক কিছুই বদলে দেবে। ইতিমধ্যে ধারাভাষ্যকার রা ক্রিকেট ম্যাচের ধারাবিবরণী নিজেদের বাড়িতে বসে দিয়েছেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ক্রিকেট সম্প্রচার একটি সংস্থা ধারাভাষ্যকার দের জন্য এই সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আপাতত একটি ম্যাচে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাপারটি দেখা হয়েছিল। ঠিক ছিল, সব ভাল মতো হলে এবার আইপিলেও ধারাভাষ্যকাররা বাড়িতে বসেই ধারাবিবরণী দেবেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল টি-থ্রি ক্রিকেট। সেখানে তিনটি দল একটি ম্যাচে খেলেছিল। ক্রিকেটের এই নতুন ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা ছিল জোরদার। সেই ম্যাচে এবি ডিভিলিয়ার্স-এর দল সোনা জিতেছে। ওই ম্যাচে ইরফান পাঠান, দীপ দাশগুপ্ত ও সঞ্জয় মঞ্জরেকার নিজেদের বাড়ি থেকে ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন। এমনকী ম্যাচটির সম্প্রচার করা সংস্থার একাধিক ক্রিউ মেম্বার বাড়ি থেকেই কাজ করেছিলেন।
আরও পড়ুন- বোর্ডে সৌরভ গাঙ্গুলি আর জয় শাহের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না! পরবর্তী শুনানি ২ সপ্তাহ পর
ইরফান ভদোদরা থেকে, দীপ কলকাতা ও সঞ্জয় মুম্বাইতে বসে নিজেদের দায়িত্ব সামলেছেন। পাঠান বলছিলেন, "আমরা নেটওয়ার্ক কানেকশান নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। ম্যাচ চলাকালীন সবসময় তো আর নেটওয়ার্ক সমান থাকবে না। তবে সব কিছু দারুনভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনও অসুবিধা হয়নি। আমি আলাদা ঘিরে বসে কাজ করেছি। যাতে কাজে কেউ ব্যাঘাত না ঘটায়। ভার্চুয়াল কমেন্ট্রি একেবারে নতুন ব্যাপার। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। তবে এই করোনা পরিস্থিতির মাঝে এমন করা ছাড়া উপায় নেই।" এবার দুবাইতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হলেও ভার্চুয়াল কমেন্ট্রি দেখা যেতে পারে। আপাতত তেমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।