অলিম্পিকে ভারতের ট্রাজিক হিরোরা

গত দুবারের অলিম্পিকে ভারতে বয়ে গেছে পদকের বন্যা। কিন্তু বহুদিন ক্রীড়াবিদ পদকের দোরগোড়ায় পৌঁছেও ফিরেছেন খালি হাতে। একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছে পদক।

Updated By: Jul 22, 2012, 11:33 PM IST

গত দুবারের অলিম্পিকে ভারতে বয়ে গেছে পদকের বন্যা। কিন্তু বহুদিন ক্রীড়াবিদ পদকের দোরগোড়ায় পৌঁছেও ফিরেছেন খালি হাতে। একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছে পদক। ভারতের
ট্র্যাজিক হিরোরা:
 
মিলখা সিং
 
১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হয় উড়ন্ত শিখ মিলখা সিংয়ের। ৪০০ মিটার বিভাগে ৪৫.৬ ছয় সেকেন্ডে দৌড় শেষ করলেও মিলখা ব্যর্থ হন তৃতীয় স্থান অধিকার করতে। অবশেষে চতুর্থ স্থানে থেকেই খুশি থাকতেই হয় উড়ন্ত শিখকে। যেই ঘটনা আজও ভারতীয় ক্রীড়া ভোলেনি।
 
পিটি উষা
 
ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতের আরেক ট্র্যাজিক হিরোর নাম পিল্লাউল্লাগান্ধী টেক্কাপলমবীর উষা বা পি টি উষা। ১৯৮৪-র লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ৪০০ মিটার হার্ডলসে তৃতীয় স্থানাধিকারী ক্রিশ্চিনা কোজেকারুর কাছে মাত্র ০.০১ সেকেন্ডের জন্য হেরে পদক জয় হয়নি পিটি উষার। 
 
হেনরি রেবেলো
 
মিলখা, পিটি উষার আগেও ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে যাকে ঘিরে পদক জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল তিনি হেনরি রেবেলো। বেঙ্গালুরুর রেবেলো ১৯৪৮ সালে পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু ট্রিপল জাম্পার রেবেলোর সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল চোটের জন্য। ফাইনালের দিন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে আর পদক জয় হলনা তাঁর।
 
সুদেশ কুমার ও প্রেমনাথ
 
ভারতের আরও দুই ট্র্যাজিক হিরোর নাম দুই কুস্তিগীর সুদেশ কুমার ও প্রেমনাথ। ১৯৭২ সালে অলিম্পিকে কুস্তি বিভাগে ৫২ কেজিতে সুদেশ কুমার ও সাতান্ন কেজিতে প্রেমনাথ ছিলেন ভারতের প্রতিনিধি। কিন্তু সেমিফাইনালে রেফারির সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যাওয়ায় একটুর জন্য পদক জেতা হয়নি সুদেশের। আর বছর সতেরোর প্রেমনাথ চোটের কবলে পরে চতুর্থ স্থানে শেষ করেন অলিম্পিকে।
 
গুরবচন সিং ও শ্রীরাম সিং
 
টোকিও অলিম্পিকে হার্ডলার গুরবচন সিংয়ের দকে তাকিয়ে ছিল ভারত। কিন্তু ভারতের আরও একটা পদক ছিনিয়ে নিল চোট। ১০০ মিটার হার্ডলের ফাইনালের আগে চোট পেয়ে যাওয়ায় অবশেষে পঞ্চমস্থানে শেষ করেন গুরবচন। ১৯৭৬ সালে মন্ট্রিল অলিম্পিকে সাড়া জাগিয়ে শুরু করলেও ফাইনালে নিজের পারফরম্যান্সের ধারে কাছে ছিলেননা শ্রীরাম সিং।প দক জয়ের জন্য ভারত যারউপর চোখ বুজে ভরসা করেছিল, সেই শ্রীরাম ৮০০ মিটারের শেষ করেন সপ্তম স্থানে।

.