India vs Kuwait: কান্তিরাভা যেন কুরুক্ষেত্র! ফের লাল কার্ড স্টিমাচের, লক্ষ্যপূরণ হল না ভারতের
India vs Kuwait: একটা নিরীহ ম্যাচ অহেতুক অশান্ত হয়ে গেল দ্বিতীয়ার্ধে। শেষ মুহূর্তে আত্মঘাতী গোল করে ভারত ড্র করল কুয়েতের বিরুদ্ধে। আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া হল না সুনীল ছেত্রীদের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের (SAFF Championship 2023) সেমিফাইনালে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছিল ভারত। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভায় সুনীল ছেত্রীদের (Sunil Chhetri) কাছে কুয়েতের বিরুদ্ধে (India vs Kuwait) ম্যাচ ছিল কার্যত নিয়মরক্ষার। তবে ভারতের সামনে দু'টি লক্ষ্য ছিল। এক) কুয়েতকে হারিয়ে 'এ' গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ চারে নামা। দুই) গোল হজম না করেই জয়ের হ্যাটট্রিক করা। ইগর স্টিমাচের শিষ্যরা (Igor Stimac) ম্যাচ ১-১ ড্র করে, দুয়ের একটি লক্ষ্যও পূরণ করতে পারল না বেঙ্গালুরুতে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে গিয়ে 'এ' গ্রুপের মগডালে উঠেই শেষ চার খেলবে কুয়েত।
ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের ১০১ নম্বরে। সেখানে কুয়েতের অবস্থান ১৪৩। সেখানে কুয়েতকে হারাতে গিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম হলেন সুনীলরা। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেননি এদিন। তবে বিরতির ঠিক আগেই 'ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক' সুনীল দেশের জার্সিতে ৯২ নম্বর আন্তর্জাতিক গোলটি করে ফেলেন। প্রথমার্ধের ঠিক ইনজুরি টাইমে কর্নার কিক থেকে পাওয়া বল ধরে সাইডভলিতে অনবদ্য গোল করে দলকে ১-০ এগিয়ে দেন সুনীল। প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকা ভারত দ্বিতীয়ার্ধে কুয়েতকে প্রথম মিনিট পনেরো রীতিমতো চেপে ধরেছিল। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা যখন ৬০ মিনিটের ঘরে ঢুকতে শুরু করে দেয়, তখনই ম্যাচের তাল কাটতে থাকে।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে নাওরেম মহেশকে ফাউল করে বসেন হামাদ আলকাল্লা। বল টেকনিক্যাল এরিয়ার সামনে এসে পড়ায়, স্টিমাচ হাতে করে বল তুলে নে়ন এবং ফাউলের দাবি জানান। এরপেরই কুয়েতের খেলোয়াড়রা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে যায়। ভারতের ক্রোট কোচ স্টিমাচও মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। রেফারির সঙ্গে ঝামেলা করে হলুদ কার্ড দেখে বসেন। এরপর ৮০ মিনিটে ফের স্টিমাচ ম্যাচ আধিকারিকদের সঙ্গে ঝামেলা করে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে স্টিমাচকে মাঠের বাইরে বার করে দেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন স্টিমাচ। সুনীলদের হেডস্যর ট্যুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি যোদ্ধা। ভবিষ্যতে দরকার পড়লে আবারও তিনি এই কাজই করবেন। এদিন ঠিক একই কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন।
এরপর ম্যাচের বয়স যখন ৮৯ মিনিট তখন দুই দলই ১০ জনে পরিণত হয়ে যায়। ভারতের রহিম আলি এবং কুয়েতের আলকাল্লাফকে লালকার্ড দেখান রেফারি। আবদুল সামাদকে ফাউল করে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন আলকাল্লাফ। রহিম এই ঘটনার প্রতিবাদে ছুটে এসে আলকাল্লাফকে সজোরে ধাক্কা মারেন। ফের এক প্রস্ত উত্তেজনা। কুয়েতের কোচিং স্টাফরাও চলে আসেন মাঠে। কান্তিরাভা কার্যত কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ম্যাচের ঠিক অন্তিম লগ্নে আনোয়ার আলির আত্মঘাতী গোল করে বসেন। কুয়েতকে সমতায় ফিরিয়ে দেন তিনি। একেবারে জিততে থাকা ম্যাচ শেষ মুহূর্তে এসে হাতছাড়া করে বসে ভারত। যদিও শেষে দুই দলের ফুটবলাররা করমর্দন করে এই যুদ্ধের শান্তি ফিরিয়ে আনেন।