কোহলি-রায়নার ব্যাটে লজ্জা এড়াল ভারত
শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না আর অধিনায়ক ধোনির ব্যাট ভারতকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত নিউজিল্যান্ডের চেয়ে প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে পিছিয়ে। হাতে এখনও পাঁচ উইকেট।
শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না আর অধিনায়ক ধোনির ব্যাট ভারতকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত নিউজিল্যান্ডের চেয়ে প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে পিছিয়ে। হাতে এখনও পাঁচ উইকেট।
টেস্ট ক্রিকেটের আট নম্বর কিউইদের বিরুদ্ধে ৮০ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে একটা সময় চাপে পড়ে গেছিল ভারত। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীর পিচে তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কিউই পেসার সাউদি, ব্রেসওয়েলরা। একে একে ফিরে গেছেন গম্ভীর (২), পুজারা (৯), শেহবাগ (৪৩), শচীনরা (১৭)। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করলেন রায়না-কোহলি।
পঞ্চম উইকেটে দু`জনে যোগ করলেন ৯৯ রান। রায়না কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টির মত ইনিংস খেলে করলেন ৫৫ রান। রায়না বেশ কিছু ভাল শট খেললেও কিউই পেসারদের সামনে সমস্যায় পড়লেন। তবে কোহলি খেললেন কোহলির মতই। রায়না ফিরে যাওয়ার পর কোহলিকে সঙ্গ দিলেন ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তের `মিস্টার কনসিসটেন্টট` কোহলি শতরান থেকে আর সাত রান দূরে থেকে অপরাজিত। ধোনি দুটো ছয় হাঁকিয়ে ৪৫ রানে দিনের শেষে অপরাজিত। ষষ্ঠ উইকেটে কোহলি-ধোনি অবিচ্ছেদ্য ১০৪ রান যোগ করেছেন। দিনের শুরুতে কিউইদের বেশি বাড়তে দেননি প্রজ্ঞান ওঝা (৫/৯৯), জাহির খান (২/৮৩)। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৬৫ রানে।
তবে সেই সঙ্গেই দিনের শেষে দেখা দিল পিচ বিতর্ক। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই ধোনি বোর্ড কর্তাদের এক হাত নিয়ে বলেছিলেন দেশের মাটিতে তাঁরা পছন্দের পিচ পান না। চিন্নাস্বামীর পিচ সেকথাই প্রমাণ করল বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। এই পিচ থেকে দারুণ সুবিধা পেলেন কিউই পেসাররা। আর কে না জানে পিচে পেসারদের প্রাণ থাকলে ভারতের ব্যাটসম্যানদের করুণ অবস্থার সাগা। আগামিকাল টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ কিউই পেসকে কেমন মোকাবিলা করে এখন সেটাই দেখার।