ড্যাম্প পড়া উইকেট! ভারত ১৭৭, কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে বাংলাদেশকেও
স্লেজিং অস্ত্র শুরু থেকেই প্রয়োগ করতে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। শরিফুল ও সাকিব মিলে শুরু থেকেই ভারতীয় ওপেনারদের উপর চাপ বজায় রাখছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফাইনাল। ভারত-বাংলাদেশ। উত্তাপ বোঝানোর জন্য এটুকুই কি যথেষ্ট নয়! কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা শব্দে-টব্দে আটকে থাকতে চাননি। আসলে বাংলাদেশের সিনিয়র দলের পারফরম্যান্স ভারতের বিরুদ্ধে বেশ খারাপ। যে কোনও বড়় মঞ্চে ভারতের সামনে পড়লেই বাংলাদেশ দল গুটিয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের জুনিয়র দল সেই মিথ ভাঙার চেষ্টা করল। তাই দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা যে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন জানাবেন সেটা তো স্বাভাবিক। আর বাংলাদেশের যুব দলের প্রতিটি ক্রিকেটার দেশের মানুষের সমর্থনের মূল্য দিতে নিজেদের উজাড় করে দিলেন।
স্লেজিং অস্ত্র শুরু থেকেই প্রয়োগ করতে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। শরিফুল ও সাকিব মিলে শুরু থেকেই ভারতীয় ওপেনারদের উপর চাপ বজায় রাখছিলেন। কখনও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, কখনও আবার লাইন-লেন্থ বজায় রেখে চাপ বজায় রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। তানজিম হাসান সাকিব আর শরিফুল ইসলাম মিলে প্রথম ৬ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৮ রান। তবে যশস্বী জয়সওয়ালকে কাবু করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। তিনি গোটা টুর্নামেন্টে নিজের ফর্ম একই জায়গায় ধরে রেখেছেন। এদিন ড্য়াম্প পড়া উইকেটে ১২১ বল খেলে তিনি করলেন ৮৮ রান। তিনি এমন ইনিংস না খেললে এদিন হয়তো আরও কম রানে আটকে যেত ভারতীয় দল।
আরও পড়ুন- অবসর ভেঙে ফিরলেন সচিন! সাত বছর পর ব্যাট ধরেই প্রথম বলে মারলেন বাউন্ডারি
বাংলাদেশের অভিষেক দাস এদিন সুযোগ পেয়েই দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেন। নিলেন তিনটি উইকেট। দুই উইকেট পেলেন শরিফুল ইসলাম। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৭৮ রান।