জোড়া মহাযুদ্ধের আড়ালে আজ অস্তিত্বরক্ষার লড়াই
একই দিনে খেলার মাঠে দুই মহাযুদ্ধ। দেশের গর্বের খেলায় বাইশ গজের সম্মানরক্ষার যুদ্ধে ধোনিদের লড়াই চিরকালীন `শত্রু` পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।অন্যদিকে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বাংলা ফুটবলের পতাকা তুলে ধরতে মাঠে নামছে মরগ্যান ব্রিগেড।
একই দিনে খেলার মাঠে দুই মহাযুদ্ধ। দেশের গর্বের খেলায় বাইশ গজের সম্মানরক্ষার যুদ্ধে ধোনিদের লড়াই চিরকালীন `শত্রু` পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বাংলা ফুটবলের পতাকা তুলে ধরতে মাঠে নামছে মরগ্যান ব্রিগেড। দুটি লড়াই একেবারে দুটো অন্য গ্রহের, ভিন্ন দুটো খেলায়। কিন্তু ধোনি আর মরগ্যান দুজনের লড়াই দেখতেই গোটা বাংলা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না কলম্বোর ২২ গজে ভারত আর শিলিগুড়ির ফুটবল মাঠে ইস্টবেঙ্গল, এই দুই লড়াই নিয়ে পাড়ার মোড়ের চায়ের চুমুক থেকে ক্লাবের ক্যারাম বোর্ডে চুমুকে এখন শুধু ধোনি আর মরগ্যান। এই দু`দলের লড়াইয়ে থাকছে অস্তিত্ব রক্ষার একটা ছায়া যুদ্ধ। গত বছরই ক্রিকেটে ধোনির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু সেই খেলাতেই রাঁচির মহানায়কের অধিনায়কত্বে বিদেশের মাটিতে পরপর আটটা টেস্ট হেরে ভারতের সম্মান ধুলোয় মিশেছে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ধোনির সামনে হয়তো শেষ সুযোগ। কিন্তু সেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ভারত এখন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারলেই বিদায় নিতে হবে ভারতকে। কে বলতে পারে আজ হারলে ধোনির চাকরি নিয়ে বড়সড় একটা প্রশ্নচিহ্ণ তুলে দেবেন না নতুন নির্বাচকরা। তাই বাইশ গজে ধোনি শুধু দেশের নয় নিজের মুকুটের অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়েও নামছেন। এই লড়াইয়ে তাঁর সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন নিজের স্থবির স্ট্র্যাটেজি কি বদলে ফেলার হিম্মত দেখাবেন মাহী? যে সাহস দেখিয়ে সেওয়াগকে বাদ দিয়েছেন, সেই সাহসটা ফর্মে না থাকা যুবরাজ ক্ষেত্রেও দেখাতে পারবেন কিনা সেটাও প্রশ্ন।
ইস্টবেঙ্গলের সামনে আবার বাংলার ফুটবলের সম্মানরক্ষার লড়াই। এবারের ফেড কাপ হচ্ছে বাংলার মাটিতে। কিন্তু লাল হলুদ ছাড়া বাংলার অন্য সব দল গুলো গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিয়েছিল। মোহনবাগান- মহামেডান তো বটেই, র্যান্টি মার্টিন্স সঙ্গে বিশ্বকাপার নিয়ে আসা প্রয়াগ ইউনাইটেডও পা পিছলে পড়েছে। তবে তারই মধ্যে উজ্জ্বল ইস্টবেঙ্গল। চার্চিল ব্রাদার্সকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল বাংলা ফুটবলের প্রথম প্রতিশোধটা নিয়ে ফেলেছে। কিন্তু মরগ্যানদের আসল লড়াইটা আজ। এখনকার ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাব ডেম্পোকে আজ হারানো না গেলে বাংলা ফুটবল নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠবে। এই দুই অস্তিত্বরক্ষার লড়াই নিয়ে এখন সরগরম বাংলার ক্রীড়াপ্রেমীরা।