আমি নির্দোষ, আমাকে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্বহাল করা হোক: শীর্ষ আদালতে আবদার শ্রীনির

আইপিএল স্পট ফিক্সিং মামলায় মুদগল কমিটির রিপোর্টে তার নাম নেই। বেটিং কাণ্ডেও তিনি রেহাই পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ফের বোর্ড সভাপতি হতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন এন শ্রীনিবাসন। শ্রীনি বলেছেন ফিক্সিং মামলায় তদন্তে স্বার্থে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

Updated By: Nov 21, 2014, 10:24 PM IST
আমি নির্দোষ, আমাকে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্বহাল করা হোক: শীর্ষ আদালতে আবদার শ্রীনির

ওয়েব ডেস্ক: আইপিএল স্পট ফিক্সিং মামলায় মুদগল কমিটির রিপোর্টে তার নাম নেই। বেটিং কাণ্ডেও তিনি রেহাই পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ফের বোর্ড সভাপতি হতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন এন শ্রীনিবাসন। শ্রীনি বলেছেন ফিক্সিং মামলায় তদন্তে স্বার্থে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

তাঁর আইনজীবি চেন্নাই সুপার কিংসেরও হয়েও সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়ে শ্রীনির আইনজীবি বলেছেন, আইপিএল থেকে চেন্নাই সুপার কিংসকে যেন সরিয়ে না দেওয়া হয়।

শ্রীনিকে রক্ষা করতে এবার সরাসরি মাঠে নামল বিসিসিআই। মুদগল কমিটির রিপোর্ট বলছে ভারতীয় দলের সদস্য সেই ''রহস্যময় তৃতীয় ব্যক্তি'' বোর্ডের আচরণ বিধি ভঙ্গ করছেন জেনেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন প্রাক্তন  বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন সহ বোর্ডের ৫ আধিকারিক।  মুদগল কমিটির এই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে আজ সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা পেশ করল বিসিসিআই।

এই হলফনামায় অভিযুক্ত 'তৃতীয় ব্যক্তি'-কে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে মুদগল কমিটির রিপোর্ট যে অভিযোগ করেছিল তা এক কথায় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের দাবি আচরণ বিধি ভঙ্গ করার জন্য সেই ক্রিকেটারকে ভৎর্সনা করা হয়েছিল বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে।  

বোর্ড তাদের হলফনামায় জানিয়েছে ১৮ নভেম্বর ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে মুদগল কমিটির রিপোর্ট নিয়ে যথেষ্ট কাঁটাছেড়া করা হয়েছে। যে ঘটনার কথা এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময় ভারতীয় দল বিদেশ ট্যুরে ছিল। টিম ম্যানেজার ছিলেন রঞ্জিত বিসওয়াল। 'তৃতীয় ব্যক্তি'-যে বোর্ডের নিয়মাবলী ভঙ্গ করেছিলেন সে কথা তৎকালীন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরকে জানানো হয়েছিল।

বিসিসিআই-এর দাবি ওই ক্রিকেটারের অপরাধ অত্যন্ত লঘু ছিল। তাঁকে সেই জন্য ওই সময় যথেষ্ট মৌখিক ভৎর্সনাও করা হয়।

বিসিসিআই-এর হলফনামার সঙ্গে মনোহর বিসওয়ালও পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে পৃথক একটি হলফনামা পেশ করেছেন।

মুদগল কমিটির রিপোর্টে 'তৃতীয় ব্যক্তি'-এর আচরণবিধি ভঙ্গ করার কথা থাকলেও, সেই ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করা নেই।

.