দ্রাবিড়ের দ্বিগুণবার নট আউট ছিলেন একটাও হাফ সেঞ্চুরি না করা ক্রিকেটার!
ভারতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা শুধু টেস্ট সিরিজ ০-৩ ব্যবধানে হারেনি। রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়ে ফিরেছে। ৭৯ রানের মধ্যে তাদের ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: ভারতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা শুধু টেস্ট সিরিজ ০-৩ ব্যবধানে হারেনি। রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়ে ফিরেছে। ৭৯ রানের মধ্যে তাদের ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছে।
দলে এবি ডিভিলিয়ার্স, হাসিম আমলার মতো বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানের তকমা পাওয়া ক্রিকেটার। তাতেও এরকম লজ্জার হার হারতে হয়েছে তাদের। টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নেমে ৪০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি তারা। এরজন্য অনেক পিচের উপর দোষ চাপাবেন, চাপাচ্ছেন বটে। সেগুলো তাদের ব্যক্তিগত মতামত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে কে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তোমাদের জন্য ডারবানের মতোই সবুজ পিচ বানিয়ে রাখছি। তোমরা এসে মনের মতো পিচে দারুণ ক্রিকেট খেলো!
যাক, যে কথা বলার। তা হলো টেস্ট ক্রিকেট তো বটেই, সব ধরনের ক্রিকেটেই আপনাকে বেশি রান করতে গেলে, বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে হবে। অর্থাত্, আপনার টেকনিক এবং ডিফেন্স দুর্দান্ত হতে হবে।
যেমন ছিলেন ভারতের রাহুল দ্রাবিড়। তাঁকে তো আর ওয়াল সাধে বলা হত না। কেরিয়ারে রাহুল দ্রাবিড় অপরাজিত ছিলেন মানে আউট হননি ৩২ বার! এটা শুধুই তাঁর টেস্ট ক্রিকেটের পারফরম্যান্স। এবং ১৬৪ ম্যাচ খেলার পর!
যদিও এই বেশিবার অপরাজিত থাকার রেকর্ড মোটেও তাঁর নামে নেই। রয়েছে কার নামে জানেন?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার কোর্টনি ওয়ালশর নামে রয়েছে এই রেকর্ড। ওয়ালশ ১৩২ টেস্টে ১৮৫ ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৬১ বার! অর্থাত্ খুব কম বোলারই ওয়ালশকে আউট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পেরেছেন। আর এই বিষয়ে ওয়ালসশর পারফরম্যান্স রাহুল দ্রাবিড়েরও প্রায় দ্বিগুন! তাতে অবশ্য ব্যাটিং ক্ষমতায় ওয়ালশ, রাহুল দ্রাবিড়ের ধারে কাছে আসেবন না। ওয়ালসের সর্বোচ্চ রানও টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র ৩০। এবং, মজার কথা, সেটাতেও ওয়ালশ ছিলেন নট আউট।