Hasin Jahan: হাসিনের বিরুদ্ধে বাবা-মায়ের মামলা! গ্রাহ্য হল না কলকাতা হাইকোর্টে
ভারতীয় দলের তারকা জোরে বোলার মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) স্ত্রী হাসিন জাহানের (Hasin Jahan) বিরুদ্ধে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন হাসিনের বাবা মহম্মদ হোসেন এবং মা নাজমা খাতুন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় দলের তারকা জোরে বোলার মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) স্ত্রী হাসিন জাহানের (Hasin Jahan) বিরুদ্ধে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন হাসিনের বাবা মহম্মদ হোসেন এবং মা নাজমা খাতুন। হাসিনের বিরুদ্ধে কেন তাঁর বাবা-মা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তা জানতে হলে অবশ্যই যেতে হবে এই মামলার গভীরে।
হাসিনের ছোট ভাই তারেক আক্তার অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করেছিলেন হাসিন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর নাবালক সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে, তাঁরা যাতে তাঁদের অধিকার থেকে কোনও ভাবেই বঞ্চিত না হন, সেই কারণেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন হাসিন। হাসিনের বাবা-মা তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। মামলার শুনানিতে হাসিনের পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী এমনটাই জানিয়েছেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান যে, থানায় গিয়ে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তা যথাযথ তদন্ত করেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি তারেকের স্ত্রী জুহি মাতলাব পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন যে, তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে এরকম মিথ্যা অভিযোগ এবং মামলা করেছেন।
বীরভূমের সাঁইথিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ হোসেন এবং নাজমা খাতুনের বড় মেয়ে হাসিন। ছোট ভাই তারেক বাবা মায়ের সঙ্গেই এক বাড়িতে থাকলেও, তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখেননি। কিন্তু ছোট ভাই তারেক তাঁর স্ত্রী জুহি মাতলাবের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল হাসিনের। মামলার বয়ান অনুযায়ী তারেক পাথর ভাঙার মেশিনের ব্যবসা করতেন। পরিবারের সুরক্ষার জন্যই স্ত্রী এবং একমাত্র পুত্র সন্তানের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বীমা করে রেখেছিলেন তারেক। ২০২১ সালের মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তারেক। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তারেকের যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করেছিলেন হাসিন। তারেকের সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পরবর্তীতে শুরু হয়েছিল বিবাদ। জুহি সমস্ত জীবন বীমার একমাত্র দাবিদার ছিলেন।
স্বামী মারা যাওয়ার পর কিছুদিনের জন্য বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন জুহি। শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসার পর শ্বশুর তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি এবং একের পর এক সিউড়ি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন জুহির বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র বউমার পাশে দাঁড়ানোর জন্যই হাসিনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ হোসেন। একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে জড়িয়ে দেন মেয়েকে। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। বর্তমানে বিষয়টি সিউড়ি আদালতে বিচারাধীন। হাসিন জাহানের বাবা এবং মা এখানেই থেমে থাকেননি। যাবতীয় তথ্য গোপন করেই কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বউমা এবং তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি সরকার নির্দেশ দেন যে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে। এখানে পুলিশের কোনও গাফিলতি নেই। ভবিষ্যতে কোনও অশান্তি বা সমস্যা তৈরি হয়. তাহলে সেক্ষেত্রে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং নিম্ন আদালতের যে সমস্ত মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না।
আরও পড়ুন: Andre Russell: নাইট যোদ্ধা কিনলেন তাঁর স্বপ্নের গাড়ি! ভিডিও পোস্ট করে বললেন লড়াইয়ের গল্প
আরও পড়ুন: Piyali Basak: ইতিহাস লিখে ঘরে ফিরলেন এভারেস্ট জয়ী পিয়ালি, চন্দননগরে উৎসবের মেজাজ