Gautam Gambhir: 'ভারতের পরবর্তী Kapil Dev খোঁজা এবার বন্ধ হোক'
গৌতম গম্ভীর সাফ বলছেন রঞ্জি ক্রিকেটই হোক পাখির চোখ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বছরের পর বিশ্বমানের ব্যাটার ও বোলাররা উঠে এসেছে ভারতীয় দলে। কিন্তু কিংবদন্তি কপিল দেবের (Kapil Dev) অবসরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় দলে একজনও ফাস্টবোলার-অলরাউন্ডার ছাপ রাখতে পারেননি। কখনও ইরফান পাঠান (Irfan Pathan) তো কখনও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে (Hardik Pandya) পরবর্তী কপিল হিসাবে ভাবা হয়েছে। সত্যি বলতে কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন অলরাউন্ডার গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ভারত এবার পরবর্তী কপিল দেবে খোঁজা বন্ধ করুক।
গম্ভীর বলেন, "আমরা সবসময় এটা বলি যে, কপিল দেবের পর আর অলরাউন্ডার পেলাম না। সত্যি বলতে এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রঞ্জি ট্রফি থেকে খেলোয়াড়দের তৈরি করতে হবে। একবার যখন তারা প্রস্তুত হয়ে যাবে, তারা সরাসরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে। যা আমাদের নেই, তার পিছনে ছুটে লাভ নেই। এটা মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যা তৈরি করতে পারব না, তা তৈরি করাই উচিত নয়। এখানেই আমাদের সমস্য়া। আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এমন একটা জায়গা, যেখানে ডেলিভার করতে হয়, গ্রুমিংয়ের কোনও জায়গা নেই। গ্রুমিং হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ও ইন্ডিয়া এ পর্যায়ে। তারা যখন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে, তৈরি থাকবে সোজা গিয়ে পারফর্ম করার জন্য়।"
আরও পড়ুন: Hardik Pandya: অলরাউন্ডার নাকি ব্যাটার? ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় আপডেট দিলেন পাণ্ডিয়া
ভারত ষষ্ঠ বোলার বা ফাস্টবোলার-অলরাউন্ডার হিসাবে সম্প্রতি পাণ্ডিয়াকে ভেবেছিল। ২০১৯ সালে পিঠের অস্ত্রোপচারের পর থেকেই পাণ্ডিয়ার পিঠের সমস্যা চলছে। যা তাঁকে ভোগাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপে রীতিমতো বিবর্ণ দেখিয়েছিল পাণ্ডিয়াকে। ফিটনেস ও ফর্ম, এই জোড়া সমস্যায় রীতিমতো নাজেহাল টিম ইন্ডিয়ার স্টার অলরাউন্ডার। কুড়ি ওভারের বিশ্বযুদ্ধের পর ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড সিরিজেও দলে সুযোগ পাননি পাণ্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও ছিলেন না তিনি। ভদোদরার হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিও (Vijay Hazare Trophy) খেলেননি পাণ্ডিয়া। মুম্বইতে চলতি রিহ্যাবে মূলত স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং মডিউলে করেছেন পাণ্ডিয়া। ২০১৮ সালে পাণ্ডিয়া শেষবার সাদা জার্সিতে দেশের হয়ে খেলেছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে আর লাল বলের ক্রিকেটে দেখা যায়নি। পাণ্ডিয়া ১১টি টেস্টে ৫৩২ রান করেছেন। তাঁর সর্বোচ্চ ১০৮। ১৭টি উইকেট রয়েছে পাণ্ডিয়ার।