Erling Haaland: সবুজ মাঠে ছুটছে অশ্বমেধের ঘোড়া! সোনালি চুল উড়িয়ে রেকর্ডের পর রেকর্ড গোলমেশিনের
Erling Haaland breaks Premier League record after scoring for Manchester City vs Arsenal: আর্লিং হাল্যান্ড গোলের পর গোল করেই চলেছেন। ওই কাজটাই তিনি সবচেয়ে ভালো পারেন। এখন তিনি হয়ে গেলেন প্রিমিয়র লিগে, এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করা তৃতীয় ফুটবলার।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিজেদের ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে (Etihad Stadium) আর্সেনালকে ডেকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City vs Arsenal)। প্রিমিয়র লিগের (Premier League) এই ম্যাচে পেপ গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) 'দ্য সিটিজেন্স' ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মিকেল আর্তেতার (Mikel Arteta) 'গানার্স'কে। সিটি-র হয়ে এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন কেভিন ডি ব্রুইন (৭', ৫৪'), জন স্টোনস (৪৫+১') ও আর্লিং হাল্যান্ড (Erling Haaland)। সফরকারী দলের একমাত্র গোলটি এসেছে রব হোল্ডিংয়ের (৮৬')। হাল্যান্ড এই ম্যাচের অন্তিম লগ্নে গোল করেই প্রিমিয়র লিগে নতুন রেকর্ড করে ফেলেন। এই মরসুমে তাঁর পা থেকে চলে এল ৩৩ নম্বর গোলটি। লিগে এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি গোলদাতাদের তালিকায় তিনে ছিলেন মিশরের মহম্মদ সালাহ (Mohamed Salah)। লিভারপুলের জার্সিতে ২০১৭-১৮ মরসুমে সালাহ করেছিলেন ৩২ গোল। হাল্যান্ড তাঁকেই টপকে গেলেন। নরওয়ের গোলমেশিনের সামনে এখন শুধু অ্যান্ডি কোল (Andy Cole) ও অ্যালান শিয়ারার। কোল ৯৩-৯৪ মরসুমে নিউক্যাস্টল ইউনাইটেডের (Newcastle United) হয়ে, শিয়ারার ৯৪-৯৫ মরসুমে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের (Blackburn Rovers) হয়ে ৩৪টি করে গোল করেছিলেন। হাল্যান্ড প্রিমিয়র লিগের এক মরসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া থেকে আর দুই গোল দূরে। এই মুহূর্তে প্রিমিয়র লিগে খেতাবি লড়াইয়ে দুই দল। সিটি ও আর্সেনালই। লাল জার্সিধারীদের ৩৩ ম্যাচে রয়েছে ৭৫ পয়েন্ট। দুই ম্যাচ কম খেলা পেপের শিষ্যরা ৭৩ পয়েন্টে। পেপরা লিগ ধরে রাখতে মরিয়া।
গোল করাটাকে রুটিন বানিয়ে ফেলেছেন 'দ্য টার্মিনেটর'। হাল্যান্ড এমন এক ফুটবলার যাঁর জীবনে ঘুমই আগুনে পারফরম্যান্সের মন্ত্র। ম্যান সিটি-র 'ডেমন' ঘুমের ব্যাপারে অত্যন্ত খুঁতখুতে। মেনে চলেন স্লিপিং মেথড। আর যার জন্য একাধিক বিশেষ গ্যাজেট ব্যবহার করেন এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। রাত ১০টা থেকে ১০টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুমের দেশের উড়ান ধরেন হাল্যান্ড। আর তার ঠিক এক ঘণ্টা আগে চোখের ওপর পরে নেন ব্ল্যু-লাইট গ্লাসেস। যা কমলা রঙের। এছাড়াও হাল্যান্ডের আঙুলে জড়ানো থাকে নিশ্চিন্তে ঘুমের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি অরা রিং। যা ঘুমের গুণমান, তাপমাত্রা, স্ট্রেস এবং হার্ট রেট মাপতে সক্ষম। যদিও হাল্যান্ডই প্রথম নন, গ্যারি নেভিলও অতীতে এই অরা আংটি ব্যবহার করেছেন স্বাস্থ্যের জন্য। মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, হাল্যান্ডের ফোনের অ্যালার্ম টোনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের থিম সং।