পিচে আমরা প্রসাব করেছিলাম, তবে সেটা অন্যায়: সোয়ান
অ্যাসেজ সিরিজ জয়ের আনন্দে ওভালের পিচে প্রসাব করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে নিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। পুরো ঘটনার জন্য ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের পক্ষে ইসিবির বিবৃতিতে বলা হয়,‘সারে সিসিসি, ওভাল বা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কাউকে অসম্মান করার মানসিকতা নিয়ে আমরা অ্যাসেজ জয়ের পর উদ্যাপন করিনি। আমাদের প্রতিপক্ষ ও ভেন্যুসহ ক্রিকেটের প্রত্যেকটি বিষয়কে আমরা সম্মান করি। এটাই আমাদের গর্বের বিষয়। এরকম একটি উঁচুমানের সিরিজ জিততে পেরে বাধনহারা হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা মেনে নিচ্ছি, যে আচরণ করেছি তা যথার্থ নয়।’
অ্যাসেজ সিরিজ জয়ের আনন্দে ওভালের পিচে প্রসাব করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে নিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। পুরো ঘটনার জন্য ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের পক্ষে ইসিবির বিবৃতিতে বলা হয়,‘সারে সিসিসি, ওভাল বা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কাউকে অসম্মান করার মানসিকতা নিয়ে আমরা অ্যাসেজ জয়ের পর উদ্যাপন করিনি। আমাদের প্রতিপক্ষ ও ভেন্যুসহ ক্রিকেটের প্রত্যেকটি বিষয়কে আমরা সম্মান করি। এটাই আমাদের গর্বের বিষয়। এরকম একটি উঁচুমানের সিরিজ জিততে পেরে বাধনহারা হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা মেনে নিচ্ছি, যে আচরণ করেছি তা যথার্থ নয়।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আর এই উদযাপন যদি কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকে তবে আমরা ক্ষমা প্রার্থণা করছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই সার্বিক বিচারে এটা ছিল স্বাভাবিক ভুল, আর কিছু নয়।’
ইংল্যান্ডের বিতর্কিত তারকা স্পিনারও বলেছেন, ``হ্যাঁ, সেদিন আমরা আনন্দের চোটে ওভালের পিচে গণ-প্রসাব করেছিলাম। তবে সেটা আমাদের অন্যায় হয়েছে।" সেই সঙ্গে সোয়ান আরও একটা বাক্য বোমা ছোঁড়েন। তারকা অফ স্পিনার বলেন, পিচে বিকৃতি ঘটাতে কিছু অন্যায় পন্থাও নিয়েছিলাম।
ওভালে টানা তৃতীয় অ্যাসেজ জয়ের বাঁধভাঙা উল্লাসের অংশ হিসেবে পিচে প্রসাব করেছিলেন ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার। বেশ কদিন ধরে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে ভুল বুঝতে পারলেন ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন তারা। তবে সুনির্দিষ্ট করে এই ঘটনার উল্লেখ করেননি ইংলিশরা।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম সোমবার রিপোর্টে প্রকাশ করে, ম্যাচ শেষের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর মাঠে বসে বিয়ার পান করেছিলন ইংল্যান্ডের। মাঠে ফ্লাডলাইটের আলো না থাকায় আচমকা তারা ওভালের পিচে প্রসাব করেন। এই কাজে কেভিন পিটারসেন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস এন্ডারসন জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয় ওই রিপোর্টে।
এই ওভাল গ্রাউন্ডটি কাউন্টি ক্লাব সারের ঘরের মাঠ। এতে করে বেশ চটেছিলেন ক্লাবটির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড। অশোভনীয় কাণ্ডের জন্য ইসিবিকে এই ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানান তিনি। এমনকি খেলোয়াড়দের ক্ষমা প্রার্থনার দাবিও করেন গোল্ড। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী হিউ রবার্টসনও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওভালই বিলেতের সবচেয়ে পুরনো মাঠ। এই মাঠ অ্যাসেজের জন্ম দেখেছে। এই মাঠেই স্যর ডন ব্র্যাডম্যানের শেষ টেস্ট। এই কেনিংটন ওভালই দেখেছে ইংল্যান্ডের ৯০৩ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস, মাইকেল হোল্ডিংয়ের ১৪ উইকেট শিকারের মতো ক্রিকেট-ইতিহাসের আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ দিকচিহ্ন।
এই বিতর্কিত ঘটনার কোনও ছবি অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার কোনও কাগজ, ওয়েবসাইটে বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পাওয়া যায়নি। কোনও ভিডিও ফুটেজও মেলেনি। তবে সেই রাতে মাঠের মাঝখানে গোল হয়ে বসে ইংরেজ ক্রিকেটাররা যে বিয়ার পান করেছিলেন, সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন ম্যাট প্রায়র। এমনকী, লন্ডনের রাস্তায় নেমে যে ক্যাপ্টেন কুক ও প্রায়র ডবল-ডেকার বাস থামানোর চেষ্টা করছিলেন, সেই ছবি পোস্ট করে ছিলেন ব্রড। কিন্তু উইকেটে প্রস্রাবের ছবির কোনও হদিশ নেই।