অমীমাংসিত এল ক্লাসিকো, নতুন তারকা ভারান
বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ফুটবলাররা এরকম একটা ম্যাচের জন্যই বসে থাকে। যেখানে ৯০ মিনিট মাপকাঠি তৈরি করে দেয় মুহূর্তের নায়ককে। এল ক্লাসিকোর মত বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত ও হাইভোল্টেজ ম্যাচ ইদানিংকালে সেরার সেরা। বার্নাবিউ স্টেডিয়ামে এল ক্লাসিকো যেন হয়ে উঠেছিল মেসি বনাম রোনাল্ডোর দ্বৈরথময়। বার্সিলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের বাকি কুড়িজন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা কোথায়!
এল ক্লাসিকো অমীমাংসিত। এক-এক গোলে ড্র হল ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ফ্যাব্রেগাসের গোলে এগিয়ে যায় বার্সিলোনা। একাশি মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদকে সমতায় ফেরান ভারান।
বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ফুটবলাররা এরকম একটা ম্যাচের জন্যই বসে থাকে। যেখানে ৯০ মিনিট মাপকাঠি তৈরি করে দেয় মুহূর্তের নায়ককে। এল ক্লাসিকোর মত বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত ও হাইভোল্টেজ ম্যাচ ইদানিংকালে সেরার সেরা। বার্নাবিউ স্টেডিয়ামে এল ক্লাসিকো যেন হয়ে উঠেছিল মেসি বনাম রোনাল্ডোর দ্বৈরথময়। বার্সিলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের বাকি কুড়িজন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা কোথায়!
কিন্তু ফুটবল দুনিয়ার দুই মহাতারকাকে ছাপিয়ে বার্নাবিউ তৈরি করল নতুন নায়কের। উনিশ বছরের ভারান হয়ে উঠলেন মরসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোর ক্লাসিক নায়ক। পিছিয়ে পড়া রিয়াল মাদ্রিদকে সমতায় ফেরানোই নয়, ভারান আটকে দিলেন জ্যাভিদের গোলমুখে বিষাক্ত সব শট। শেষ বাঁশি বাজার পর নায়ক হলেন উনিশ বছরের ফরাসি তরুনই।
এদিন প্রথম থেকেই দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল স্ট্র্যাটেজিতে চলে গিয়েছিল। ম্যাচ শুরুর এক মিনিটের মধ্যেই রোনাল্ডোকে কড়া ট্যাকল করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন সদ্য বাবা হওয়া জেরার্ড পিকে। এর পর দমে বার্সা ডিফেন্স স্বচ্ছন্দে বেনজিমা-ওজিল-রোনাল্ডোদের নড়াচড়ার সুযোগ কম দিয়েছিল। সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে বার্সিলোনা। রিকার্ডো কার্ভালহো যদি গোললাইন সেভ না করতেন, তবে প্রথমার্ধেই ১-০ ফলে এগিয়ে যাওয়ার কথা বার্সার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মেসির ঝলকানি। এলএমটেনের চোরা পাস থেকে দুরন্ত গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন ফ্যাব্রেগাস। মেসি ম্যাজিকের শুরু দেখে যখন বার্সা সমর্থকরা আশ্বস্ত হচ্ছেন, তখন রোনাল্ডো শুরু করলেন পাল্টা আক্রমণ। ফ্রি-কিক থেকে হেড করে বার্সার জালে বল জড়াতে চূড়ান্ত ব্যর্থ রোনাল্ডোও। দুই মহাতারকার যুদ্ধ। চাপের মুখে কুঁকড়ে যাওয়া নয়, বরং মেসি ও রোনাল্ডোই যা কাঁপুনি ধরাচ্ছিল বিপক্ষের বক্সে।
কিন্তু গোলের কাছে এসেও এল ক্লাসিকোয় নায়কোচিত গোলের দেখা নেই দুই মহানায়কের পা থেকে। মেসিকে বক্সের বাইরে কড়া ট্যাকলে ফেলে দিলেও, পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত বার্সা। এল ক্লাসিকোর মঞ্চ যখন মেসি-পেড্রোদের দখলে, ঠিক তখনই স্পটলাইট নিজের দিকে কেড়ে নিলেন উনিশ বছরের ফরাসি ডিফেন্ডার ভারান। মেসট ওজিলের মাপা ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে দুরন্ত গোল ভারানের। বার্সা গোলরক্ষক দিয়াগো লোপেজের বলের লাইনে না যাওয়ার জন্য সমালোচকরা দুষলেনও।
কিন্তু মোরিনহোর এল ক্লাসিকোর কালো ঘোড়া ভারান বার্সার জয়ের গ্রাস কেড়ে নিয়ে বনে গেলেন লা লিগার নতুন নায়ক। মেসি-রোনাল্ডোর জন্য ফুটবল দুনিয়ার উচ্চাশা ছিল ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার আগে থেকেই। কিন্তু ম্যাচ শেষে বাঁশি বাজতেই ভারানকে নতুন নায়ক হিসেবেই বরণ করল এল ক্লাসিকো।