দু গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ জিতে লিগ হাতের মুঠোয় ইস্টবেঙ্গলের
ইস্টবেঙ্গল (৪) কালিঘাট এম এস (৩)
ওয়েব ডেস্ক: অপ্রতিরোধ্য ইস্টবেঙ্গল। ঘরোয়া লিগের খেতাব কার্যত মুঠোয় লাল-হলুদের। বুধবার কালিঘাট এম এসকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪-৩ গোলে হারাল বিশ্বজিত ভট্টাচার্যের দল। আর্মি ম্যাচের মতই কালিঘাটের বিরুদ্ধেও প্রথমার্ধে দুগোলে পিছিয়ে পরেও কামব্যাক করল লাল-হলুদ। আবারও গোল করলেন কোরিয়ান মিডফিল্ডার ডো ডং। খেলা শুরু হতে না হতেই বেলোর ভুল থেকে গোল করে কালিঘাটকে এগিয়ে দেন ক্রিস্টোফার। কিছুক্ষণ পর ক্রিস্টোফারের দ্বিতীয় গোল।
এবারও কাঠগড়ায় লাল-হলুদ ডিফেন্স। দ্রুত আই লিগের সেরা ডিফেন্ডারকে তুলে নিয়ে র্যান্টি নামান বিশ্বজিত। তাতেও ছন্দে পাওয়া যাচ্ছিল না সম্ভাব্য ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়নদের। তবে রফিক-রা গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে বিরতির আগেই ব্যবধান কমাতে পারত ইস্টবেঙ্গল। এরমধ্যেই গোললাইন সেভ করেন কালিঘাট গোলকিপার। যা নিয়ে বিতর্ক থাকছেই। বিরতির পরপরই অবশ্য লাল-হলুদ জনতার টেনশন কমান র্যান্টি মার্টিন্স। ডংয়ের পাস থেকে দুরন্ত গোল করে যান নাইজেরীয় স্ট্রাইকার। ঘরোয়া লিগে নিজের প্রথম গোল করলেন র্যান্টি। তারপর বিকাশ জাইরুর সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে সমতায় ফেরান সাইডব্যাক রাহুল বেকে। পরপর দুম্যাচে গোল পেলেন তরুণ এই ফুটবলার।
ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথমবাররের জন্য এগিয়ে দেন ডো ডং। বিকাশ জাইরুর পাস থেকে বাঁ পায়ের ট্রেডমার্ক শটে গোল করে যান কোরিয়ান এই মিডফিল্ডার। দশ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে এখন সবার আগে ডং। কোরিয়ান মিডফিল্ডারের মতই এবারের লিগে ইস্টবেঙ্গলের প্রাপ্তি তরুণ বিকাশ জাইরু। তবে ৩-২ গোলে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যাওয়ার পরও ম্যাচে নাটক বাকি ছিল। দুরপাল্লার শটে কালিঘাটকে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন কল্লোল। অবিনাশ রুইদাসের বিশ্বমানের গোলে জয় নিশ্চিত করে ইস্টবেঙ্গল। বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে গোল করে যান অবিনাশ। গোলটি নিঃসন্দেহে এবারের লিগের অন্যতম সেরা। জিতলেও ডার্বির আগে রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। আট ম্যাচে ২২ পয়েন্ট পেয়ে এখন সবার আগে লাল-হলুদ। বাকি দুম্যাচ থেকে দু পয়েন্ট পেয়ে গেলেই টানা ছয়বারের জন্য লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল।