ডার্বি বিতর্ক, শাস্তির মুখে পালতোলা নৌকা

কালকের ডার্বি বিতর্ক আজকেও অব্যাহত। বড় ম্যাচে দল তুলে নেওয়ার জন্য কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে মোহনবাগানকে। আগামী দুবছরের জন্য আই লিগ থেকে নির্বাসিত হতে পারে সবুজমেরুন। এমনকি আর্থিক ক্ষতিপুরণও দিতে হতে পারে মোহনবাগানকে। মরসুমের প্রথম ডার্বিই জাতীয় দলের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

Updated By: Dec 10, 2012, 11:11 AM IST

কালকের ডার্বি বিতর্ক আজকেও অব্যাহত। বড় ম্যাচে দল তুলে নেওয়ার জন্য কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে মোহনবাগানকে। আগামী দুবছরের জন্য আই লিগ থেকে নির্বাসিত হতে পারে সবুজমেরুন। এমনকি আর্থিক ক্ষতিপুরণও দিতে হতে পারে মোহনবাগানকে। মরসুমের প্রথম ডার্বিই জাতীয় দলের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ম্যাচ চলাকালীন ওডাফাকে লাল কার্ড দেখানো পর মাঠে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়। এরপরই গ্যালারি থেকে ছোড়া ইটে মাথা ফেটে যায় রহিম নবির। এরপরই দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোহনবাগান। মাঠে নামার জন্য মোহনবাগান কর্তাদের বোঝানোর চেষ্টা হয়। এমনকি মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রের সঙ্গে কথা বলেন খোদ ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রও। কিন্তু দলকে মাঠে নামানোর ব্যাপারে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাতিল করে দেন ম্যাচ কমিশনার ।
বিবিধ শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে মোহনবাগানকে। এখন পর্যন্ত তাঁদের খেলা ম্যাচও বাতিল হতে পারে, আগামী দুবছরের জন্য নির্বাসিত হতে পারে মোহনবাগান, সেক্ষেত্রে ফের নিচের বিভাগ থেকে শুরু করতে হতে পারে সবুজমেরুনকে, আর্থিক জরিমানা দিতে হতে পারে তাদের, তেরো দলের মধ্যে নির্ধারিত হতে পারে এবারের আই লিগ।
এই অবস্থায় সোমবার জরুরি বৈঠকে বসছে মোহনবাগান।
অন্যদিকে কালকের ম্যাচে আহত মোহনবাগানের রহিম নবির অবস্থা এখন স্থিতিশীল। রবিবার ডার্বি ম্যাচে দর্শকের ছোঁড়া ইটের আঘাতে জখম হন তিনি। একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে নবির। সিটি স্ক্যানে কিছু না মিললেও কান ও চোয়ালের হাড়ের মাঝে চিড় ধরেছে তাঁর। সোমবার দুপুরে অস্ত্রোপচার হবে রহিম নবির। ম্যাচের পরই হাসপাতালে নবিকে দেখতে যান দুই প্রধানের কর্তারা। হাসপাতালে নবিকে দেখে যান ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। রাতে নবিকে দেখতে হাসপাতালে যান আইএফএ সচিব উত্‍‍‍পল গাঙ্গুলি।

.