গত ১২ বছরে পারেনি, এবার আইপিএলে সেটাই করে দেখাল দিল্লি
ফাইনালে এবার মুম্বইকে হারাতে পারলে গত এক যুগ ধরে চলা ব্যর্থতার অবসান হবে মধুর সুরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- হায়দরাবাদের পাল্লা ভারি ছিল বটে! এলিমিনেটর-এ তারা আরসিবিকে হারিয়েছিল। দিল্লি তো মুম্বইয়ের কাছে হেরে কিছুট ব্যাকফুট-এ ছিল। তবে শেষ হাসি অনেক সময় ব্যাকবেঞ্চার হাসে। গত ১২ বছরে দিল্লি একবারও আইপিএলের ফাইনাল খেলেনি। কিন্তু এবার তারা সেই আক্ষেপ পুষিয়ে নিল। শক্তিশলী হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফাইনলে নাম লেখাল দিল্লি। ফাইনালে এবার মুম্বইকে হারাতে পারলে গত এক যুগ ধরে চলা ব্যর্থতার অবসান হবে মধুর সুরে। তবে কাজটা যে সহজ হবে না তা দিল্লি জানে। রোহিত শর্মার দলের নামের পাশে চারবার চ্যাম্পিয়ন তকমা লেগে রয়েছে।
ওপেনার শিখর ধাওয়ার প্রয়োজনের দিনে দলকে সেরাটা দিলেন। করলেন ৭৮ রান। সঙ্গে মার্কাস স্টয়নিসের ঝোড়ো ৩৮ ও সিমরন হেটমায়ারের ৪২ রানের সৌজন্যে দিল্লি প্রথমে ব্যাটিং করে তুলল ১৮৯ রান। এদিন একের পর এক ক্যাচ ফেলে ম্যাচ নিজেদের জন্য কঠিন করে ফেলেন হায়দরাবাদের ক্রিকেটাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। দলের এক নম্বর তারকা ডেভিড ওয়ার্নার কাগিসো রাবাডার বলে বোল্ড হন। মাত্র ২ রানে ওয়ার্নার আউট হতেই চাপ বাড়তে থাকে হায়দরাবাদের উপর। এর পর ফর্মে থাকা মণীশ পাণ্ডে আউট হন ২১ রানে। ম্যাচ জয়ের আশা ক্রমশ ক্ষীণ হতে শুরু করে হায়দরাবাদের জন্য।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে ফের করোনার হানা, এবার আক্রান্ত খোদ অধিনায়ক
কমবয়সী ক্যাপ্টেন হিসাবে শ্রেয়স আইয়ার দিল্লি সমর্থকদের মন জিতলেন অবশ্যই। এদিন অবশ্য দিল্লির টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাটিং অর্ডারে সামান্য পরিবর্তন করল। শিখরের সঙ্গে ওপেন করতে এলেন মার্কাস স্টয়নিস। আর তাতেই বাজিমাত। দুজনে মিলে শুরুতেই দিল্লিকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দিলেন। হায়দরাবাদের কেন উইলিয়ামসন অবশ্য সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করলেন। তবে ৪৫ বলে ৬৭ রান করেও তিনি দলকে জেতাতে পারলেন না।