অভিষেকেই জুনিয়র রোনোল্ডোর ৪ গোল
৯ বছরের ছেলেকে নিয়ে সিআরসেভেন এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, ক্রিশ্চিয়ানো (জুনিয়র) আমার মতো প্রতিযোগী মনোভাবাপন্ন। আমি ছোট বেলায় যেমন ছিলাম ঠিক তেমন। ও কখনই হারতে চায় না। আমি নিশ্চিত বড় হয়ে ও আমার মতো হবে...
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাপা ক্যাহতে হ্যায় বড়া নাম করে গা, বেটা হামারা অ্যাইসা কাম করে গা... জুনিয়র রোনাল্ডোর কীর্তি দেখে গোটা ইতালি হয়ত এখন এই গানটাই গাইছে। ভারতের মতো ইতালিও যদি হিন্দি জানতো তাহলে বোধহয় সে দেশে জুনিয়র রোনাল্ডোর মতো টুইটারে ট্রেন্ড করত ‘কেয়ামত সে কেয়ামত’ ছবির এই গানটাও। সেটা হয়নি ঠিকই, তবে যেটা হল – অভিষেকেই শিরোনামে চলে এলেন জুনিয়র রোনাল্ডো।
আরও পড়ুন- জুভেন্তাসের জার্সিতে গোলের দেখা নেই রোনাল্ডোর!
জুভেন্তাসের অনূর্ধ্ব ৯ দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই নজরকাড়া পারফরম্যান্সে হৈ চৈ ফেলে দিলেন রোনাল্ডো পুত্র। লুসেন্তর বিরুদ্ধে ৫-১-এ জিতল জুভেন্তাস। যার মধ্যে ৪টি গোলই এল জুনিয়র রোনাল্ডোর পা থেকে।
Take a look at this Cristiano Ronaldo Jr goal today: pic.twitter.com/Ulgm6hrnK3
— Cristiano Ronaldo (@CRonaldoNews) September 1, 2018
বিশ্বকাপ শেষ হতেই রেকর্ড অঙ্কের টাকায় দলবদল করেছিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। স্পেনের সব থেকে ধনী ফুটবল ক্লাব রিয়্যাল মাদ্রিদ ছেড়ে ফুটবল তারকা ধরেছেন জুভান্তাসের হাত। মাস খানেক হয়ে গেল, ‘ইতালির গার্লফ্রেন্ডে’র সঙ্গেই ঘর করছেন তিনি। তবে যেটার জন্য রোনাল্ডোকে নিয়ে এসে জুভেন্তাস এত মাতামাতি করল, সেটার দেখা এখনও মেলেনি। একটা প্রস্তুতি ম্যাচে ৮মিনিটের মাথায় গোল করে রোনাল্ডোর জুভেন্তাস যাত্রার শুরু হলেও, এখনও খাতায় কলমে কোনও গোলই পাননি তিনি। ঘরোয়া লিগে দল জিতছে অথচ রোনাল্ডো ম্যাজিকের দেখা নেই। জুভেন্তাস ফ্যানদের সেই আক্ষেপটাই মিটিয়ে দিল রোনাল্ডো পুত্র। অভিষেক ম্যাচেই বিপক্ষের জালে বল জড়াল ৪ বার।
আরও পড়ুন- ইউরোপসেরা মদ্রিচ, সহ্য হচ্ছে না রোনাল্ডোর বোনের
অতীতে, রোনাল্ডো নিজ মুখেই জানিয়েছিলেন তিনি চান বড় হয়ে তাঁর ছেলে পেশাদার ফুটবলার হোক। ৯ বছরের ছেলেকে নিয়ে সিআরসেভেন এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, “ক্রিশ্চিয়ানো (জুনিয়র) আমার মতো প্রতিযোগী মনোভাবাপন্ন। আমি ছোট বেলায় যেমন ছিলাম ঠিক তেমন। ও কখনই হারতে চায় না। আমি নিশ্চিত বড় হয়ে ও আমার মতো হবে। ওর মধ্যে প্রতিভা আছে, স্কিল আছে, ওর মধ্যে গতিও আছে। ওকে আরও আরও অনেক কিছু শেখাব। আমি চাই ও বড় হয়ে একজন পেশাদার ফুটবলার হোক।” ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে বাবার সেই স্বপ্নের সিঁড়িতে পা বাড়িয়ে দিল ছেলেও।