একেই বলে খেলার ভক্ত! মাঠে ঢোকা যাচ্ছে না, হোটেল ভাড়া করলেন কয়েকজন
সমস্যা যখন আছে তখন সমাধানও আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- খেলা হচ্ছে। কিন্তু দর্শক নেই। ফাঁকা স্টেডিয়াম। এমন ছবি দেখে দর্শকদের যত না কষ্ট হচ্ছে তার দ্বিগুণ হয়তো খারাপ লাগছে ক্রিকেটারদের। মাঠে দর্শকরাই তো তাঁদের প্রেরণা। দর্শকদের কান ফাটানো চিত্কার ছাড়া আবার খেলা জমে নাকি! কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কিছুই করার নেই। করোনা এসে সব লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। কবে যে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হবে কেউ জানে না। আপাতত কয়েক মাস গ্যালারিতে গায়ে গা ঠেকিয়ে বসে খেলা দেখতে পারবেন না দর্শকরা। গ্যালারি হয়তো পুরো ফাঁকা থাকবে না। তবে দর্শকসংখ্যা কমই থাকবে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন, গ্যালারির ২৫ শতাংশ অংশে দর্শক ভর্তি থাকবে আগামীদিনে। এসব শুনে দর্শকদের মন খারাপ বটে। তবে তাঁরাও দমে যাওয়ার নন।
খেলার ভক্ত বলে কথা। বাড়িতে বসে থাকা যায়! চাইনিজ ফুটবলে খেলা হচ্ছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। কিন্তু দর্শকরা এবার সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করেছেন। মাঠে তাঁরা ঢুকলেন না। কিন্তু প্রায় মাঠে বসেই খেলা দেখলেন। সমস্যা যখন আছে তখন সমাধানও আছে। এটাই বুঝিয়ে দিলেন ফুটবল ভক্তরা। দিনকয়েক আগে একটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল, মাঠে ঢুকতে না দেওয়ায় কয়েকজন সমর্থক ক্রেন ভাড়া করে এনেছিলেন। সেই ক্রেনে চড়ে তাঁরা মাঠের বাইরে থেকে প্রিয় দলকে সমর্থন জুগিয়েছিলেন। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল। এবার দেখা গেল কয়েকজন সমর্থক স্টেডিয়ামের লাগোয়া একটি হোটেলের ঘর ভাড়া করলেন। তার পর সেই ঘরের জানলায় দাঁড়ালেন প্রিয় দলের পতাকা নিয়ে।
আরো পড়ুন- ''আমি হিন্দু তাই যত আইন আমার জন্য, তাই তো?'' পিসিবিকে ফের খোঁচা কানেরিয়ার
চাইনিজ সুপার লিগে সাংহাই এসআইপিজি ও তিয়ানজিন তেদার মধ্যে ম্যাচে এমন কাণ্ড ঘটল। কুনশানে একটি স্টেডিয়াম লাগোয়া হোটেলের ঘর থেকে এসআইপিজির ৩-১ গোলের জয় দেখেছেন সমর্থকরা। এমনকী হোটেল থেকে সমর্থকদের হইচই শুনেছেন ফুটবলাররা। সমর্থকদের এমন কাণ্ড দেখে তাঁরাও অবাক। তবে একইসঙ্গে খুশিও। সোঝু ও ডালিয়ান অঞ্চলের নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হচ্ছে চাইনিজ লিগের ম্যাচগুলি। প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ ছিল লিগ। তবে আবার চিনে ফুটবল ফিরেছে। এদিন প্রায় একশো সমর্থক হোটেল ভাড়া করে খেলা দেখলেন। অনেক সমর্থক আবার জানলার সামনে দাঁড়িয়ে ড্রাম বাজিয়ে, চেঁচিয়ে, বাঁশি বাজিয়েও দলকে সমর্থন জানিয়েছেন।