সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বেকায়দায় সিএবি
ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টের নজিরবিহীন রায়ে রীতিমত বেকায়দায় পড়ে গেছে বিসিসিআই এবং একাধিক রাজ্য সংস্থা। বিশেষ করে সিএবির অবস্থা আরও বেশি জটিল। লোধার রায়ে পনেরো নম্বর পাতায় সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত কর্মকর্তা লোধা কমিশনের দেওয়া শর্ত পূরণ করছেন না তারা রায়দানের পর মুহূর্ত থেকেই পদ হারাবেন। সেই হিসেবে সিএবির যুগ্মসচিব সুবীর গাঙ্গুলি এবং কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে প্রশাসনিক পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন। এর ফলে সিএবিতে রীতিমত একটা অচলাবস্থা দেখা দিতে চলেছে। সিএবির সংবিধান অনুযায়ী চেকে সই করার অধিকারী হলেন দুই যুগ্মসচিব এবং কোষাধ্যক্ষ। এর মধ্যে অন্তত দুজনের সই থাকতে হয় চেকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই মূহুর্তে সই করার অধিকার আছে শুধুমাত্র অভিষেক ডালমিয়ার। ফলে আর্থিক লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে সিএবিতে। বাইশে জানুয়ারি কলকাতায় ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় একদিনের ম্যাচের প্রস্তুতিও ব্যাহত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে সিএবিতে সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি একান্তে বৈঠক করেন বিশিষ্ট আইনজীবী উষানাথ ব্যানার্জির সঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সিএবি এবং বেশ কয়েকটি রাজ্য সংস্থা এই ধরনের সমস্যায় পড়তে চলেছে তা স্বীকার করে নেন উষানাথ বাবু। আরও পড়ুন- অনুরাগ ঠাকুরের জায়গায় সৌরভকে দেখছেন স্বয়ং সুনীল গাভাসকর
এই সমস্যা কাটাতে অবিলম্বে কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে বিশেষ জরুরি সাধারণ সভা ডাকতে হবে সিএবিকে। সেই সভায় সংবিধান সংশোধনের পর নির্বাচনের রাস্তায় যেতে হবে। নয়া কমিটি দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত অচলাবস্থা কাটার সম্ভাবনা কম। সিএবির মতন বিসিসিআই-এর একাধিক সংস্থাতে এই সমস্যা দেখা দেওয়ায় ভারত-ইংল্যান্ড আসন্ন একদিনের ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।