ব্রাজিলে এখন বিশ্বকাপ শুধু ফুটবলের নয় শরীরী ব্যবসারও

একেই বলে হয়ত রথ দেখা, কলা বেচা। বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে যৌনতা ব্যবসা, সেক্স ট্যুরিজম একেবারে লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে আয়োজক দেশ ব্রাজিলে। বিশ্বকাপ দেখতে ব্রাজিলে আসছেন লক্ষাধিক ফুটবলপ্রেমী, কয়েক হাজার সাংবাদিক, কর্মকর্তারা। আর তাদেরই বিনোদনের জন্য হাজির গোটা বিশ্বের যৌনকর্মীরা।

Updated By: Jun 2, 2014, 01:52 PM IST

----------------------------
একেই বলে হয়ত রথ দেখা, কলা বেচা। বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে যৌনতা ব্যবসা, সেক্স ট্যুরিজম একেবারে লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে আয়োজক দেশ ব্রাজিলে। বিশ্বকাপ দেখতে ব্রাজিলে আসছেন লক্ষাধিক ফুটবলপ্রেমী, কয়েক হাজার সাংবাদিক, কর্মকর্তারা। আর তাদেরই বিনোদনের জন্য হাজির গোটা বিশ্বের যৌনকর্মীরা।

একেবারে হিসাব কষে সেইসব যৌনকর্মীরা ব্রাজিলে এসেছেন। যেহেতু ব্রাজিলে যৌন ব্যবসা বৈধ তাই, দু বছর আগে থেকেই সরাসরি অনেক যৌনকর্ম ভিসার আবেদন করে রেখেছিলেন। নিয়ম মেনে তাঁদের ভিসা ইস্যুও করা হয়। কিন্তু পরে নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন এনে বেশ কয়েকজন বিদেশী যৌনকর্মীকে ভিসা দেওয়া হয়নি। নিয়ম পরিবর্তনের পর যৌনকর্মীরাও স্ট্র্যাটিজি বদলান। অনেকেই বলেন, নেহাতই বিশ্বকাপ দেখবেন বলেই তারা ব্রাজিলে আসতে চান।

ব্রাজিল ও বিদেশের প্রায় মোট সাড়ে ১৪ লক্ষ যৌন কর্মী বিশ্বকাপের সময় পর্যটকদের টার্গেট করবেন। শোনা যাচ্ছে প্রত্যেক পাঁচজন ফুটবল পর্যটকের জন্য একজন যৌনকর্মী থাকছে ব্রাজিলে। সঙ্গে রয়েছে চাইল্ড প্রস্টিটিউশনের ভয়। কারণ আঠারো বছরের উর্দ্ধে ব্রাজিলে প্রস্টিটিউশন ছাড় রয়েছে। সেখানেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে ব্রাজিল প্রশাসন ও ফুটবল নিয়ামক সংস্থাদের কাছে। তাঁরা মনে করছেন, সেক্স ট্যুরিজিম তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। প্রায় ৫ লক্ষের বেশি শিশুকে এই কাজে নিযুক্ত করা হতে পারে। এক সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানিতে প্রায় ৪০ হাজার যৌনকর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছিল বিদেশী পর্যটকদের জন্য। তাই ব্রাজিল প্রশাসনের কাছে এখন বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশু নিগ্রহ সামলানোর।

ব্রাজিলের এক ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশ থেকে যৌনকর্মীরা ব্রাজিলে ঘাঁটি গেড়েছেন। সাও পাওলোতেই সবচেয়ে বেশী সংখ্যাক ইউরোপিয়ান যৌনকর্মীরা নিজেদের পসার সাজাবেন।

২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেও যৌন ব্যবসারপ রমরমা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ব্রাজিল যেন সব কিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।

আর মাত্র দশ দিন বাকি। ফুটবল বিশ্বকাপের সমস্ত প্রস্তুতি কার্যত শেষের দিকে। এখন চলছে পরীক্ষা হলে পাওয়া অতিরিক্ত কিছু সময়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত চোখ বুলিয়ে নেওয়া। তবে পেলে, নেইমারের দেশে আরও এক খেলা নিভৃতে সাজছে। দেওয়ালে দেওয়ালে সাঁটা হচ্ছে প্রলুব্ধ পোস্টার।

সারা গায়ে বিভিন্ন রঙবেরঙের উলকিতে জোরকদমে নিজেকে আরও সাজিয়ে গুছিয়ে নিচ্ছে ব্রাজিলের অসংখ্য পতিতারা। বারোমাসই বিদেশী পর্যটকরা আসে কিন্তু বিশ্বকাপ মরসুমে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেশী। তাদের মন জয় করতে সবরকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রাজিলের পতিতারা। তারা মনে করছে, এইসময় তাদের ইনকাম প্রতিদিনের থেকে দশগুণ বেশী হবে। নবান্নের ঘ্রাণ পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছে তারা।

.