ভূপতি-বোপান্নাকে `বনবাসে` পাঠাল এআইটিএ
ডেভিস কাপে অপ্রত্যাশিত জয়ের আনন্দ স্তিমিত হওয়ার আগেই আক্ষরিক অর্থে বোমা ফাটাল অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। ২০১৪ অবধি ভারতীয় ডেভিস কাপ দল থেকে কার্যত বহিষ্কৃত হলেন মহেশ ভূপতি এবং রোহন বোপান্না। শনিবার গভীর রাতে এআইটিএ-র পক্ষ থেকে এ কথা ঘোষণা করা হয়।
ডেভিস কাপে অপ্রত্যাশিত জয়ের আনন্দ স্তিমিত হওয়ার আগেই আক্ষরিক অর্থে বোমা ফাটাল অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। ২০১৪ অবধি ভারতীয় ডেভিস কাপ দল থেকে কার্যত বহিষ্কৃত হলেন মহেশ ভূপতি এবং রোহন বোপান্না। শনিবার গভীর রাতে এআইটিএ-র পক্ষ থেকে এ কথা ঘোষণা করা হয়।
লন্ডন অলিম্পিকসের সময় দল নির্বাচনকে ঘিরে এআইটিএ-র সঙ্গে সরাসরি সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়েন ভূপতি-বোপান্না। অলিম্পিকসের জন্য এআইটিএ নির্ধারিত ডাবলস্ টিমে লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে জুড়ি বেঁধে খেলতে অস্বীকার করেন ভূপতি। তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেন বোপান্না। মূলত তাঁদের মিলিত জেদের জন্যই এআইটিএ বাধ্য হয় দুটি ডাবলস টিম পাঠাতে। একটি ভূপতি-বোপান্নার। অন্যটি লিয়েন্ডার আর বিষ্ণু বর্ধনের। যদিও বহু ঢঙ্কা-নিনাদের পরে অলিম্পিকস থেকে খুব দ্রুত বিদায় ঘটে ভূপতি-বোপান্না জুটির।
এআইটিএ যে এই দুজনের প্রতি একেবারেই প্রসন্ন নন তার ইঙ্গিত অবশ্য বহু আগেই পাওয়া যাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে য়ুকি ভামব্রিদের তাজা রক্ত অসাধারণ প্যারফরমেন্স করে দেওয়ায় বল চলে যায় এআইটিএর কোর্টে। তার সদব্যাবহার করতেও অবশ্য দেরি করলনা এআইটিএ। ডেভিস কাপে ভারতের ৩-০ এগিয়ে যাওয়ার পরেই এআইটিএ পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল এসিয়া/ওসেনিয়া গ্রুপ থেকে ওয়ার্ল্ড গ্রুপে উত্তরণ না হওয়া পর্যন্ত এই দলই বজায় রাখবে ভারত। এআইটিএ প্রেসিডেন্ট অনিল খান্না শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে পরিষ্কার জানিয়েছেন `` তরুণ ব্রিগেডের সৌজন্যে বহুদিন পর এসিয়া/ওসেনিয়া গ্রুপে ভারত এত ভাল জায়গায়। ২০১৩ সালে ভারত ওয়ার্ল্ড গ্রুপে ঢোকার জন্য যুদ্ধ শুরু করবে। আমরা চাই ততদিন এই দল টাকেই ধরে রাখতে।`` ওয়ার্ল্ড গ্রুপে পৌঁছাতে গেলে ভারত কে এসিয়া/ওসেনিয়া গ্রুপে এখনও কমপক্ষে ২ টো টাই খেলতে হবে। আগামী বছরের শেষের আগে যা হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। অতএব দলে ফিরতে ভূপতি-বোপান্নার `বিদ্রোহী` জুটিকে এখনও বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে। অবশ্য এই টাই গুলোতে ডেভিস কাপে ভারতের এতদিনের সেরা বাজি লিয়েন্ডারের কথা ভাবা হবে কিনা সেই বিষয়ে পরিষ্কার কোন ইঙ্গিত মেলেনি এআইটিএ-র কাছ থেকে।
প্রত্যাশিত ভাবেই এআইটিএ র এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মহেশ ভূপতি। ইতিমধ্যেই টুইট করে তিনি ভারতীয় টেনিস ফেডেরেসনের কর্তাদের বৃদ্ধ ঠাকুরদা বলে `মধুর` সম্ভাষন করেছেন । তাঁর টুইটে মহেশ জানিয়েছেন যাঁরা কোনদিন র্যাকেট হাতে কোর্টে খেলতেই নামেনি তাদের কোন কথাতে প্রতিক্রিয়া জানাতে তাঁর বয়ে গেছে।
`