BHAICHUNG BHUTIA : ফেডারেশনের সভা থেকে বেরিয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ বাইচুংয়ের
জানালেন, তাঁর প্রশ্ন অগ্রাহ্য করা হলে প্রয়োজনে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করবেন না। সোমবার সল্টলেকের তারকা চিহ্নিত হোটেলে ছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নতুন কর্মসমিতির প্রথম সভা। সেখানে ছিলেন ফেডারেশনের সব কর্তাই। তিনি লেখেন, " ১২.০৯.২০২২ সেপ্টেম্বর সাজি প্রভাকরণের যে চিঠি (AIFF/EXCO Meet- 19th Sept/2022/492) পেয়েছি, তাতে ৩.৯.২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং-এর ড্রাফট উল্লিখিত আছে এবং আসন্ন ১৯.০৯.২০২২-এর এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডাও লেখা আছে। ৩ সেপ্টেম্বরের মিটিংয়ের যে ড্রাফট আমি দেখেছি, তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি আমার নজরে এসেছে। ...
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় : সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে মহাসচিব সাজি প্রভাকরণের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলে দিন, কয়েক আগেই বিতর্ক তুলেছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। পাহাড়ি বিছে সোমবার ফেডারেশনের কর্মসমিতির বৈঠক থেকে বেরিয়ে তুলে দিলেন আরও প্রশ্ন! জানালেন, তাঁর প্রশ্ন অগ্রাহ্য করা হলে প্রয়োজনে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করবেন না। সোমবার সল্টলেকের তারকা চিহ্নিত হোটেলে ছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নতুন কর্মসমিতির প্রথম সভা। সেখানে ছিলেন ফেডারেশনের সব কর্তাই। হাজির ছিলেন বাইচুং ভুটিয়াও। দিন কয়েক আগেই বাইচুং ফেডারেশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, ফেডারেশনের মহাসচিব হিসেবে সাজি প্রভাকরণের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি লেখেন, " ১২.০৯.২০২২ সেপ্টেম্বর সাজি প্রভাকরণের যে চিঠি (AIFF/EXCO Meet- 19th Sept/2022/492) পেয়েছি, তাতে ৩.৯.২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং-এর ড্রাফট উল্লিখিত আছে এবং আসন্ন ১৯.০৯.২০২২-এর এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডাও লেখা আছে। ৩ সেপ্টেম্বরের মিটিংয়ের যে ড্রাফট আমি দেখেছি, তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি আমার নজরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, রোল কলে সাজি প্রভাকরণের উপস্থিতি নথিভুক্ত করা নেই। কিন্তু ড্রাফটে দেখতে পাচ্ছি যে এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য না হয়েও তিনি গোটা বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন। আপনাদের অনুমোদনের প্রেক্ষিতেই এক্সিকিউটিভ কমিটি ডক্টর প্রভাকরণকে তাঁরই উপস্থিতিতে ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল পদে নিয়োগ করেছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটা বিষয় বলেই আমার মনে হয়। এর ফলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক, এমনকী সেটা পক্ষপাতদুষ্ট বলেই মনে হয়। এটা নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফেডারেশন চালানোর পন্থার পক্ষে মোটেও ভাল লক্ষণ নয়। এই প্রেক্ষিতে আমার প্রস্তাব এক্সিকিউটিভ কমিটি পরবর্তী মিটিংয়ে মহাসচিব পদে নিয়োগ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করুক। ফেডারেশনের মহাসচিবের পদটা সর্বক্ষণের। সেই কারণে আইনসম্মত চুক্তির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়া উচিত স্বচ্ছ। সেই কারণে চাকরির সম্পূর্ণ শর্ত উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হোক। এই বিজ্ঞাপনে বেতন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার উল্লেখ থাকা জরুরি। কর্মসমিতি অনুমোদন দিলে উল্লিখিত পদের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া যেতে পারে।"
সেই দিন এই প্রসঙ্গে বাইচুংয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "বৈঠকে আমি সাজি প্রভাকরণের মহাসচিব পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। কিন্তু তা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়েছে। বলা হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা রয়েছে। সে কারণেই ওই সংক্রান্ত আলোচনা আর করা হয়নি। হতাশ লাগছে এ কারণেই যে, দু-তিন দিন আগেই আমি বিষয়টি নিয়ে আগাম জানিয়েছিলাম। তা হলে, তার পরেও কেন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা গেল না?" যোগ করেন, "আইনি পথ খোলা রয়েছে। কিন্তু এখনই সেই পদক্ষেপ না করে আমার ঘনিষ্ঠবৃত্তে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। কারণ সাজি প্রভাকরণ এআইএফএফ নির্বাচনে একটি রাজ্য সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন।"
বাইচুংয়ের এই গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিদের প্রশ্ন করা হলে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, "বাইচুং সভায় এ ব্যাপারে কোনও প্রসঙ্গই তোলেনি। চাইলে বাইচুং প্রসঙ্গ তুলতেই পারত। সভায় সব কিছুই এক্যমত্যের ভিত্তিতে পাস হয়েছে। প্রভাকরণের নিয়োগ দিল্লিতে ৩ সেপ্টেম্বরের কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হয়। গত কর্মসিমিতর বৈঠকের মিনিটস য়খন পেশ করা হয়, তখন বাইচুং তো সভাতেই ছিল, তা হলে তখন ও সভায় চুপ করে ছিল কেন?"
বাইচুং সভা থেকে বেরিয়ে এখানেই চুপ করে ছিলেন না। তিনি বলেন, "অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলাদের দলকে বার্সেলোনা পাঠানো হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না। বরং বিদেশি ভাল দল নিয়ে এসে ভারতেই প্রস্তুতি নেওয়া যেত। ভারত ও বার্সেলোনার আবহাওয়ায় অনেক পার্থক্য রয়েছে। ফলে কী লাভ হবে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা দলকে বার্সেলোনায় পাঠিয়ে।"