লক্ষ্মীর লড়াইয়েও লজ্জার হার বাংলার

পঞ্চনদীর দেশে বাংলার ক্রিকেটে এল একরাশ লজ্জা। রঞ্জি ট্রফিতে যুবি-ভাজ্জিহীন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বাংলা এক ইনিংসে হেরে গেল। বাংলা ক্রিকেটের `বিপদের বন্ধু` লক্ষ্মীরতন শুক্লা দারুণ একটা লড়াকু ইনিংস খেললেন, কিন্তু দলের বাকিরা সেই লড়াইয়ের মর্যাদা দিতে পারলেন না। শেষ অবধি বাংলা হারল এক ইনিংস এবং ২৭ রানে। দিনের শুরুতেই নতুন বলে বাংলার ইনিংস তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে।

Updated By: Nov 12, 2012, 06:32 PM IST

বাংলা: ৩২৬, ২২৬। পঞ্জাব: ৫৭৯/৭ (ডি:)
পঞ্চনদীর দেশে বাংলার ক্রিকেটে এল একরাশ লজ্জা। রঞ্জি ট্রফিতে যুবি-ভাজ্জিহীন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বাংলা এক ইনিংসে হেরে গেল। বাংলা ক্রিকেটের `বিপদের বন্ধু` লক্ষ্মীরতন শুক্লা দারুণ একটা লড়াকু ইনিংস খেললেন, কিন্তু দলের বাকিরা সেই লড়াইয়ের মর্যাদা দিতে পারলেন না। শেষ অবধি বাংলা হারল এক ইনিংস এবং ২৭ রানে। দিনের শুরুতেই নতুন বলে বাংলার ইনিংস তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। জয়জিত বসু, ঋতম পোড়েল, অর্ণব নন্দীদের মত তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বাংলা। কিন্তু তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে বড় মঞ্চে খেলার মত তারা এখনও প্রস্তুত নয়। মাত্র ৩৯ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট চলে যায় বাংলার। মনোজ কিছুটা লড়লেন, কিন্তু এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেলেন।
অধিনায়ক যখন ফিরলেন তখন বাংলা দাঁডি়য়ে ৫ উইকেটে ১০২ রানে। এরপর লক্ষ্ণীর লড়াই শুরু। হার বাঁচানোর লড়াইয়ে লক্ষ্মী সঙ্গে পেলেন ঋদ্ধিমান সাহাকে। বেশ খেলছিলেন দুজনে। কিন্তু খারাপ দিনে সব কিছুই খারাপ যায়। আর তাই ৫৭ রান করার পর ঋদ্ধি আউট হলেন বলের লেন্থ বুঝতে না পেরে। তখনই পরিষ্কার হয়ে গেছিল এই ম্যাচ থেকে খালি হাতে ফিরতে হবে মনোজদের। তবু লক্ষ্মী লড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ক্রিকেটে যে একা লড়াইয়ে জেতা যায় না বাংলার বাকি খেলোয়াড়ার সেটাই প্রমাণ করলেন। তবে লক্ষ্ণীকে শেষ অবধি হারানো গেল না। অপরাজিত থাকলেন ৯১ রানে। রাজ্য থেকে তিনজন ক্রিকেটার জাতীয় দলে খেলার লড়াইয়ে আছে তাদের কাছে এই হার সত্যিই হতাশার। প্রথম ম্যাচে গত দুবারের চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পাওয়ার পর বাংলা অনেকটাই সাফল্যের ঢিবিতে উঠেছিল, কিন্তু পঞ্চনদীর দেশ দেখিয়ে দিল বাংলাকে নিয়ে উচ্চাশা না করাই ভাল।

.