ক্যারিবিয়ান রূপকথার অপমৃত্যু, মহিলা বিশ্বকাপ অসিদের দখলে
বাইশ গজে সৃষ্টি হল না নতুন ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো। একেবারে তীরে এসে তরী ডুবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা ক্রিকেট দলের। গত কাল মুম্বইয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে অসি বাহিনীর কাছে তাঁরা কার্যত দাঁড়াতেই পারলেন না। পরাজিত হলেন ১১৪ রানে। অন্যদিকে মোট ছয় বার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস তৈরি করলেন অস্ট্রেলিয় মহিলা ক্রিকেট দল।
বাইশ গজে সৃষ্টি হল না নতুন ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো। একেবারে তীরে এসে তরী ডুবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা ক্রিকেট দলের। গত কাল মুম্বইয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে অসি বাহিনীর কাছে তাঁরা কার্যত দাঁড়াতেই পারলেন না। পরাজিত হলেন ১১৪ রানে। অন্যদিকে মোট ছয় বার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস তৈরি করলেন অস্ট্রেলিয় মহিলা ক্রিকেট দল।
রবিবার টসে জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন অসি অধিনায়িকা জোডি ফিল্ডস। তাঁর দলের দুই ওপেনার র্যাচেল হায়েনস (৫২) ও মেগ ল্যানিং (৩১)প্রথম থেকেই ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তের যথাযথ মর্যাদা রাখেন। তাঁদের ব্যাটেই মোটামুটি অসিদের বড় স্কোরের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে মূল কাজটা করে দিয়ে যান ওয়ানডাউনে নামা ক্যামেরন স্ট্রাক। তাঁর ৭৫ বলে ৭৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে ব্যাগি গ্রিন টুপির মালকিনরা নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে সাত উইকেট খুইয়ে ২৫৯ রানের বিশাল রান খাড়া করেন। ক্যাপ্টেন ফিল্ডসেরও প্রয়োজনীয় ৩৬ রানের ইনিংস দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টের আন্ডারডগ ওয়েস্টইন্ডিজ ফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দিলেও শেষরক্ষা করতে পারল না। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং এই তিন বিভাগেই অসি আধিপত্যের কাছে কার্যত মাথানত করলেন ক্যারিবিয়ানরা। অসিদের ২৫৯ রানের জবাবে তাঁরা গুটিয়ে গেলেন মাত্র ১৪৫ রানে। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ক্যাপ্টেন মেরিসা আগুইলেরিয়ার (২৩)। তিনি ছাড়া একমাত্র কাইসোনা নাইটস কুড়ির চৌকাঠ পেরতো পারলেন। অস্ট্রেলিয়ানদের হয়ে পেসার পেরি ১৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেনিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং মেরুদন্ডটা ভেঙে দেন। বাকি কাজটুকু করে দেন দুই অফস্পিনার লিসা (২-২০) ও এরিন অসবোর্ন (২-২৬)।