Asia Cup Final, Babar Azam: ফাইনালে অ্যাডভান্টেজে থাকবে এই দলই! বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী পাক অধিনায়কের
করোনার ধাক্কায় ২০২০ সালে এশিয়া কাপ বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এরপর ২০২১ সালে টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা করে এসিসি। কিন্তু ফের সেই কোভিডের কারণেই টুর্নামেন্ট ভেস্তে যায়। এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত সর্বোচ্চ ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এশিয়া কাপ ফাইনালের (Asia Cup Final) দামাম বেজে গিয়েছে। সানডে ব্লকব্লাস্টারে মুখোমুখি বাবর আজমের (Babar Azam) পাকিস্তান ও দাসুন শনাকার (Dasun Shanaka) শ্রীলঙ্কা (Pakistan vs Sri Lanka)। চলতি এশিয়া কাপে এই দুই দলই দুরন্ত পারফর্ম করে ফাইনালের টিকিট সংরক্ষণ করেছে। খেতাবি লড়াইয়ে কোন দল থাকবে এগিয়ে তা আগাম জানিয়ে দিলেন পাক অধিনায়ক বাবর। ম্যাচের আগেই বড় ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন বাবর। তিনি বলে দিলেন, পরে যে দল ব্যাট করবে, তারাই থাকবে ম্যাচে অ্যাডভান্টেজে।
পাক ক্রিকেট বোর্ডের সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবর বলেছেন, 'এশিয়া কাপে আমরা ভাল ম্যাচ ও কঠিন ম্যাচ খেলেছি। ওঠানামাও এসেছে। দলের একাধিক সদস্য ভাল পারফর্ম করেছে। আমরা অত্যন্ত রোমাঞ্চিত এবং ভাগ্যবান যে, প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলতে নামছি। অধিনায়ক হিসাবে আমি অত্যন্ত খুশি যেভাবে দল সাড়া দিয়ে ফাইনালে উঠেছে। প্রতি ম্যাচেই কেউ না কেউ এগিয়ে এসেছে। আমাদের কাছে আফগানিস্তান ম্যাচ স্পেশ্যাল ছিল। খুব ক্লোজ ম্যাচ ছিল। আশা করি ফাইনালেও ভাল খেলা হবে। 'পাকিস্তানের কোচ সাকলিন মুসতাক আগে বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন দলের টস মাথায় রাখা উচিত নয়। কিন্তু বাবর অন্য সুরে কথা বললেন। তাঁর সংযোজন, এশিয়া কাপে যা দেখেছি, টস এখানে ফ্যাক্টর। যে দল পরে ব্যাট করেছে, তারা জিতেছে। যারা পরে ব্যাট করবে তারা এগিয়ে থাকবে।'
আরও পড়ুন: SL vs PAK, Asia Cup 2022: বাবর আজমদের হারিয়ে ফাইনালের মহড়া সেরে নিল শ্রীলঙ্কা
করোনার ধাক্কায় ২০২০ সালে এশিয়া কাপ বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এরপর ২০২১ সালে টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা করে এসিসি। কিন্তু ফের সেই কোভিডের কারণেই টুর্নামেন্ট ভেস্তে যায়। এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত সর্বোচ্চ ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৮৪ সালে শুরু হয় এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। বিগত ১৪ বছরে ভারত ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ভারতের পরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৪) হয় তারা। পাকিস্তান দু'বার (২০০০, ২০১২) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।