ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টাইগার বধ করে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন ভারত
৩ উইকেটে জিতল ভারত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ খেলেও ফাইনালে চোক করেছিল বিরাট কোহলির ভারত। চলতি এশিয়া কাপেও ফাইনালের আগে পর্যন্ত (আফগানিস্তান ম্যাচে সিনিয়ররা বিশ্রামে ছিলেন) সবচেয়ে ধারাবাহিক খেলছিল টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালে ফের চোক করে গেল ভারতের ব্যাটিং। ২২২ রানে বাংলাদেশকে আটকে রাখার পর অহেতুক চালাতে গিয়ে টার্গেট কঠিন করে ফেললেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়ে কোনওক্রমে ম্যাচ বের করল টিম ইন্ডিয়া। শেষওভারে ৬ বলে বাকি ছিল ৬ রান। খুচরো রান নিয়ে সেই রানটা তুললেন ব্যাটসম্যানরা। শেষে ৩ উইকেটে কষ্টসাধ্য জয়লাভ রোহিত শর্মার ভারতের। আর এরইসঙ্গে ফের একবার এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। তবে বাংলাদেশের লড়াই প্রশংসা আদায় করে নিল। ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর দলকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলে দিয়েছিল বাংলার টাইগাররা।
এদিন শুরুটা ভাল করেছিলেন শিখর ধবন ও রোহিত শর্মা। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে আসেন শিখর ধবন। ১৫ রানের মাথায় তাঁকে তালুবন্দি করেন। এরপর মাত্র ২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অম্বাতি রায়াডু। রোহিতের সঙ্গ দেন দীনেশ কার্তিক। মনে হচ্ছিল, আরও একটা ম্যাচ ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে তা হল না! ৪৮ রানে ফিরলেন রোহিত। সোজা কথায়, উইকেট উপহার দিয়ে এলেন। হাল ধরেন দীনেশ কার্তিক ও ধোনি। বিরাট কোহলি ছাড়া এমনিতেই মিডল অর্ডারে সেই ঝাঁঝ নেই। তার উপরে ফর্মে নেই মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাও ধোনি কার্তিক সেট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আবারও ব্যর্থ হলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। ৩৬ রানে ফিরলেন ধোনি। তার আগেই ফিরে গিয়েছেন দীনেশ কার্তিক। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরলেন কেদার যাদব। ৫ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো ধুঁকপুকুনি শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় শিবিরে। সেখান থেকে ভুবি ও জাড্ডু ধীরে ধীরে দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তবে কিনারায় এসে আউট হন জাডেজা। ২৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তার পরের ওভারেই ভুবির উইকেট হারিয়ে সংকটে পড়ে ভারত। তবে শেষপর্যন্ত কোনওক্রমে জয়লাভ করে ভারত। এই জয় মোটেই স্বস্তি দেবে না টিম ইন্ডিয়াকে। বিশ্বকাপের আগে মিডল অর্ডারকে মেরামত করতেই হবে।
এদিন টসে জিতে ফিল্ড করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুবাইয়ে রাতের আলোয় সহজ টার্গেটও তাড়া করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। এদিন বাংলাদেশ শুরুটাও ভাল করেছিল। ওপেনিং জুটিতেই উঠেছিল ১২০ রান। কিন্তু সেখান থেকে মিডল অর্ডারে হারাকিরি। যে স্কোরটা ৩০০ পার করত, সেখানে দুশো পার করতেই হিমশিম খেল টাইগাররা। এদিন বাংলাদেশকে টানলেন ওপেনার লিটন দাস। কেরিয়ারের প্রথম শতরান করলেন। তাও আবার ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ফাইনালে। বড় মঞ্চে মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন বাংলার টাইগার। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১২১ রান। লিটনকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। আর একটু ধরে খেললেই আড়াইশোর উপরে নিশ্চিতভাবে চলে যেত বাংলাদেশ।