‘কুম্বলেকে কেউ তাড়ায়নি’, দেড় বছর পর মুখ খুললেন লক্ষ্মণ
...
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাল ২০১৬। জুন মাস। ভারতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্বে এসেছিলেন অনিল কুম্বলে। সচিন-সৌরভ-লক্ষ্মণদের নির্বাচিত অনিলকে বিরটদের হেড স্যার করে দিয়েছিল বিসিসিআই। তারপর টানা এক বছর কোহলি-কুম্বলে জুটিই দেশের হয়ে সোনা ফলিয়েছে। ভারত একের পর এক মাইলস্টোন ছুঁয়েছে। পরপর টেস্ট সিরিজ জয়। তারমধ্যে আছে দেশের মাটিতে গাভাসকর-বর্ডার ট্রফি জয়ের মতো কৃতিত্বও। ভাগ্য সদয় হলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (২০১৭) জয়ও হয়ে যেত। তবে সেটা হয়নি। ফাইনালে হারে ভারত। আর তারপরই কাউকে কিছু না জানিয়ে বোর্ডকে ইমেল করে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন কুম্বলে। কোচ পদ থেকে অনিল কুম্বলে সরে দাঁড়াচ্ছেন, এই খবর দাবানল হতেও বেশি সময় লাগেনি। পরে সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি হয়, কোহলির সঙ্গে মত মিলছ না বলেই কোচের চাকরি ছাড়েন অনিল কুম্বলে।
আরও পড়ুন- “মানুষ বলেই ভুল করেছে”, হার্দিক-রাহুলের পাশেই ‘দাদা’
পরবর্তীতে এই বিষয়ে কোহলি নিজে কিছু না জানালেও কুম্বলে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলেন, অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর কাজের অমত হওয়াতেই তিনি পদ ছাড়ছেন।
তাঁর পদত্যাগের পর ভারত কোচহীন ভাবেই ক্যারিবিয়ান সফর করে এবং জেতেও। পরে বিরাট কোহলির পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে রবি শাস্ত্রীকে সেই পদে বসিয়ে দেয় বিসিসিআই। যদিও সেই সময়ও একটি সংঘাত তৈরি হয়েছিল। এমনও শোনা যায়, সৌরভ চাননি শাস্ত্রী ভারতীয় দলের হেড কোচ হন। তবে সচিনের প্রচ্ছন্ন মদতে কোচ হন শাস্ত্রীই।
আরও পড়ুন- ৪৯ মিনিটেই ভাঙল পূজারার ধ্যান, ফিরলেন ১১ রানে
এই ঘটনার বছর দেড়েকের মাথায় এবার মুখ খুললেন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য ভিভিএস লক্ষ্মণ। তাঁর কথায়, কুম্বলেকে কেউ পদচ্যুত করেনি। বিরাট কোহলির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েও ভিভিভিএস বলেন, “অনিল কুম্বলেকে কেউ পদচ্যুত করেনি। একটা মতানৈক্য হয়েছিল বটে। কোহলি, কুম্বলের কোচিং স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিল না। বিসিসিআই ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিকে সেই সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার কথাও বলেছিল। আমরা মনে করেছিলাম অনিল দারুণ কাজ করেছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, যে ও পদত্যাগ করতে বাধ্য হল। আমি ওর জায়গায় থাকলে একই কাজ করতাম।”